গত সপ্তহের পাঁচ কার্যদিবসের তিন দিনই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এমন দরপতনের ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে।
Advertisement
বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স এবং বাছাই করা সূচক ডিএসই-৩০ কমেছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহেই তিন হাজার ৪১ কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৬ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৭৬ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
Advertisement
অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ২১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২০ শতাংশ।
প্রধান সূচক ও বাছাইকৃত সূচক কমলেও ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি বেড়েছে দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ২৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১২৬টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭০৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
Advertisement
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৫৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ৬৫৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৮৮৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৯ দশমিক ৭২ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ২২ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ২১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রতপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৫ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের তিন দশমিক ১৮ শতাংশ। ৯২ কোটি তিন টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণ ফোন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বেক্সিমকো, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল।
এমএএস/এএইচ/পিআর