* সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে* দ্বিতীয় স্থানে সিলেট বিভাগ* রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম
Advertisement
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ বলছে, দেশে নারীপ্রধান পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। জরিপ অনুযায়ী, প্রতি ১০০টি পরিবারের মধ্যে ১৪টি পরিবারের প্রধান এখন নারী।
কেন বাড়ছে নারীপ্রধান পরিবার?
এই নারীদের বেশিরভাগই বিধবা, অথবা স্বামীর থেকে বিচ্ছেদের পর নিজেই হাল ধরেছেন সংসারের। ফলে নারীপ্রধান পরিবার বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হলো- বিবাহ বিচ্ছেদ।
Advertisement
বিবিএসের ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ’ (এমএসভিএসবি) শীর্ষক প্রতিবেদন বলছে, দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েছে। এ বিচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি এগিয়ে।
তালাকপ্রাপ্ত ও বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা পুরুষের হার ২০১৬ সালে ছিল শতকরা ১ দশমিক ৪ শতাংশ। পরের বছর সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশে। এই হার ৫ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে দশমিক ৪ ভাগ।
একই সঙ্গে নারীদের বিবাহ, তালাক ও পৃথক বসাবাসের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশের ১০০ জন নারীর মধ্যে বতর্মানে গড়ে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী তালাকপ্রাপ্ত, যা আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ। গত ৫ বছরের ব্যবধানে এই হার বেড়েছে ২ ভাগ।
কবে থেকে বাড়ছে নারীপ্রধান পরিবার?
Advertisement
২০১৩ সাল থেকে এই হার বাড়ছে। ১০ বছর আগে নারীপ্রধান পরিবারের হার ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। জরিপের ফলাফল বলছে, অল্প বয়সী মেয়েরাই এখন পরিবারের হাল ধরছেন। ১৫ বছরের কম এমন নারী এখন ২১ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। অন্যদিকে, ১৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে বয়স এমন নারী এখন ১৩ দশমিক ৪ শতাং পরিবারের প্রধান।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ৮৪ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের প্রধান যে নারী তিনি হয় বিধবা, নয়তো স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে।
অন্যদিকে, শতকরা ১৪ ভাগ পরিবারের প্রধান অবিবাহিত নারী। যেসব নারী পরিবারের হাল ধরেছেন তাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে (২১ দশমিক ৫ শতাংশ)। তারপরেই রয়েছে সিলেট বিভাগ। কিন্তু এই দুটি বিভাগে কেন নারীপ্রধান পরিবারের সংখ্যা বেশি, সে সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
অন্যদিকে, এই ধরনের পরিবারের সংখ্যা সবচেয়ে কম রংপুর বিভাগে। অর্থাৎ সেখানে পুরুষরাই পরিবারের হাল ধরেছেন বেশি।
জেডএ/পিআর