দেশজুড়ে

হালদার পানিতে অক্সিজেন সঙ্কট

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জৌলুশ আগের মতো এখন আর নেই। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ধীরে ধীরে কমে আসে এ জৌলুশ। সম্প্রতি নদীর পানিতে দেখা দিয়েছে, অক্সিজেন সঙ্কট, যার ফলে প্রায় সময় নদীর মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবার (২৯ জুন) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হালদা নদী রক্ষা কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, হালদার ১১ পয়েন্টের পানির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দ্রবীভূত অক্সিজেন শূন্য দশমিক দুই এক থেকে এক মিলি লিটারের মধ্যে পাওয়া গেছে, যা মাছের বসবাসের অনুপযোগী। নমুনা পরীক্ষায় নদীর উজানের চেয়ে ভাটি এলাকায় দূষণের মাত্রা বেশি। রাউজান-আজিমের ঘাট-মদুনাঘাট পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় দূষণের মাত্রা তুলনামূলক বেশি।

তিনি আরও জানান, হালদায় দূষণে ২০ প্রজাতির মাছ মারা গেছে। মরে ভেসে ওঠা মাছের তালিকায় চারটি প্রধান মাছ ছাড়াও ৫-৬ কেজি ওজনের আইড়, আড়াই কেজি ওজনের বামোস, চিংড়ি, চেউয়া, কুচিয়া, বুরগুনি রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে হালদা নদী রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা ও সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজা মোজাম্মেল, আমিন মুন্না, ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর, আশু বড়ুয়া, দুলাল দাশ, শ্রীরাম জলদাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক আমেনা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা সুপারিশগুলো হলো-হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্লান্টসহ অক্সিজেন থেকে কূলগাঁও পর্যন্ত শিল্প-কারখানায় ইটিপি স্থাপনে বাধ্য করা, এশিয়ান পেপার মিলসহ অন্য কারখানাগুলো ইটিপি ব্যবহারে বাধ্য করা, হাটহাজারীর নন্দীর হাটের ‘মরা ছড়া’ খালের বর্জ্য ডাম্পিং স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ পোল্ট্রি খামারগুলোর দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনন্যা আবাসিক এলাকার ভরাট হয়ে যাওয়া বামনশাহী খাল পুনর্খনন করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা, শিকারপুর এলাকার ছোট খাল ও ছড়াগুলো খনন করে পানি প্রবাহ বাধামুক্ত করা, হালদাকে পরিবেশগত বিপন্ন এলাকা (ইসিএ) ও ‘জাতীয় নদী’ ঘোষণা এবং হালদা নদী ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের জন্য হালদা নদী কমিশন গঠন করা।

আবু আজাদ/এএইচ/পিআর

Advertisement