চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় কিশোরী ইনহাস বিনতে নাছিরকে (১২) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিহতের নানা নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে এ মামলা দায়ের হয়।
Advertisement
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে বলেন, পেশাদার খুনি কিংবা পারিবারিক কোনো বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পরে। নাসরিন আক্তার খুশবুর (নিহতের মা) হাতে কাটা দাগ রয়েছে। তিনি (মা) বলছেন, ‘মেয়েকে রক্তাক্ত দেখে আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।’ তবে শহরে পেশাদার অপরাধী চক্র বাসায় চুরি-ডাকাতি করার জন্য ঢুকেছিল কি না, বিষয়টিও নজরে রেখেছি।
নিহত ইনহাস (১২) নগরীর মেরন সান স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। বাবা মোহাম্মদ নাছির সৌদি আরবে থাকেন। ঘটনাস্থল ছয়তলা লায়লা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠতলায় নাছির ও তার তিন ভাইয়ের পরিবার থাকে। নাছিরের পরিবার থাকে পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে। আর নিচ থেকে চতুর্থতলা পর্যন্ত ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেয়া। নাছিরের মতো তার তিনভাইও সৌদি আরব প্রবাসী। তাদের আরেক ভাই পরিবার নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে থাকেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোহাম্মদ নাছির ও নাসরিন আক্তার খুশবু দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে ইনহাস সবার বড়। লায়লা ভবনের পঞ্চম তলায় তিন কক্ষের বাসায় তিন মেয়ে ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন খুশবু। ঈদে সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর এখনও ফেরেননি তার শাশুড়ি।
Advertisement
ঘটনার দিন বুধবার (২৭ জুন) সকাল ৮টার দিকে মেজো মেয়েকে স্কুলে দিতে বাইরে যান খুশবু। ঘরে তখন ইনহাস আর আড়াই বছর বয়সী ছোট মেয়ে ছিল। সকাল ৯টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি ঘরের দরজা চাপানো অবস্থায় দেখেন। পরে ইনহাসের ঘরে গিয়ে তাকে বালিশ চাপা অবস্থায় দেখতে পান। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বালিশ তুলে দেখেন রক্তে ভেসে গেছে। পরে তার চিৎকারে পাশের বাসা থেকে অন্যরা ছুটে এসে ইনহাসকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু আজাদ/আরএস/পিআর