গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ-দোলানবাজার সড়কের চুপাইর এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের একটি কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ ভেঙে ভেঙে এবং বিকল্প রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পথে পথে তাদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। আর সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন স্থানীয় বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী যানবাহনের চালকরা। সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ-দোলানবাজার সড়কে গিয়েও মিললো ঘটনার সত্যতা। জানা যায়, কালীগঞ্জ-দোলানবাজার সড়ক দিয়ে উপজেলার বক্তারপুর, জামালপুর, মোক্তারপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন কাজের প্রয়োজনে কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে আসতে হয়। সেটা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত প্রয়োজনে কেউ কেউ আবার বিকল্প রাস্তায় অথবা ভেঙে ভেঙে উপজেলায় আসতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অন্যদিকে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। পাশাপাশি সময়ও লাগছে বেশি। ওই সড়ক দিয়ে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কালীগঞ্জ শ্রমিক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মহিলা কলেজ, উপজেলা পরিষদ, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ভূমি অফিস, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডাকঘরসহ স্থানীয় শিল্প-কারখানায় যাতায়াত করতে হয়। আর কালভার্টটি ভেঙে সেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, উপজেলার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা শাক-শবজি কালীগঞ্জে সদরের মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে থাকে তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু যদি তা বিকল্প রাস্তায় আসে তাহলে সুযোগ সন্ধানি স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা আদায় করে নিচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। আর সেই অতিরিক্ত ভাড়ার প্রভাব পড়ছে ওই শাক-শবজির ওপর। কারণ, তখন শাক-শবজি মূল্যও অতিরিক্ত হারে নেওয়া হয়। তাই অনতিবিলম্বে কালভার্টটি মেরামত করে অতিদ্র্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জোর দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীরা। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী বদরুল আজম জাগো নিউজকে বলেন, আসলে হঠাৎ করে কালভার্টটি ভেঙে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঠিক। এজন্য যাত্রীরা যাতে সাবধানে চলাচল করতে পারেন সে ব্যাপারে ওই স্থানে সতর্ক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় যাত্রীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা হবে। পরে টেন্ডারের মাধ্যমে নতুনভাবে কালভার্টটি নির্মাণ করা হবে। আব্দুর রহমান আরমান/এমজেড/পিআর
Advertisement