খেলাধুলা

সেনেগালকে বিদায় করে দ্বিতীয় রাউন্ডে কলম্বিয়া

বিশ্বকাপে আরো একবার শ্বাসরুদ্ধকর গ্রুপ পর্বের খেলা দেখলো সবাই। কলম্বিয়ার বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেলেই পরের রাউন্ডে চলে যেত সেনেগাল আর কলম্বিয়ার দরকার ছিল জয়। আফিকান দেশটিকে অবাক করে তাদেরকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল কলম্বিয়া। আর ৪ পয়েন্ট পেয়েও ফেয়ার প্লেতে জাপানের থেকে পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল সেনেগাল।

Advertisement

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাঁটিয়ে এই ম্যাচে কলম্বিয়া একাদশে ফেরেন কার্লস সানচেজ। কিন্তু তারা প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ৩১ মিনিটে। দলের প্রধান খেলোয়াড় হামেস রদ্রিগেজ ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন।

লাতিন দেশদের বিপক্ষে একবারের মোকাবেলায় ২০০২ সালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র করেছিল সেনেগাল। এই ম্যাচে শুরু থেকে তারা আক্রমণাত্মক ছিল। ১৭ মিনিটে সাদিও মানেকে ডিবক্সের ভেতর ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু ভিএআরের সহায়তায় সেই পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি।

২৫ মিনিটে কুয়েন্তেরোর ফ্রি কিক থেকে হেড গোল করতে পারেননি ফ্যালকাও। ২৭ মিনিটা কাইতার শট রুখে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ওস্পানিয়া। ৩৭ মিনিটে সানের দুর্দান্ত ফ্রিক একটুর জন্য গোলবঞ্চিত হয়। ম্যাচে আর কোন আক্রমণ না হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় তারা।

Advertisement

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে মানে গোলের সুযোগ পেলেও গোলবারের বাইরে শট নেন তিনি। ম্যাচে কলম্বিয়ার কাঙ্ক্ষিত সময়টি আসে ৭৫ মিনিটে। কুয়েন্তেরোর বাড়ানো ক্রসে আরো একবার কলম্বিয়ার হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন বার্সেলোনা তারকা ইয়ারি মিনা। ৭৭ মিনিটে মানে ডি বক্সের ভেতর শট নিলেও সেটিকে তালুবন্দী করেন ওস্পানিয়া।

শেষ দিকে গোলের অনেক চেষ্টা করেও আর কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি সেনেগাল। শেষ পর্যন্ত ০-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় সেনেগাল। জাপানের সমান ৪ পয়েন্ট পেয়েছিল তারাও। হেড টু হেড এবং গোল ব্যবধানও ছিল সমান। কিন্তু ফেয়ার প্লেতে জাপানের থেকে বেশি হলুদ কার্ড পাওয়ায় বিদায় নিতে হলো তাদের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মত সেনেগাল ফেয়ার ফ্লেতে বিদায় নিল এবং জাপান ফেয়ার প্লের সহায়তা নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো।

আরআর/পিআর

Advertisement