দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে হওয়া লেনদেন বৃহস্পতিবার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
Advertisement
লেনদেনের পালে হাওয়া লাগলেও এদিন মূল্য সূচকে ধাক্কা খেয়েছে দুই বাজারই। উভয় বাজারের সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ চার কার্যদিবসের তিনদিনই মূল্য সূচকের পতন হলো। সেইসঙ্গে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
আগের কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানের ওপরেই। যে কারণে বড় উত্থানে এদিন লেনদেন শুরু হলেও পতনের মাধ্যমে তা শেষ হয়েছে।
ব্যাংক খাতের লেনদেন হওয়া ১৫টি প্রতিষ্ঠানই এদিন শেয়ার দাম ধরে রাখতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম কমার বিপরীতে দাম বেড়েছে ৭টির। আর সব খাত মিলে ডিএসইতে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২১১টির দাম। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Advertisement
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৩ পয়েন্টে।
মূল্যসূচকের পতন হলেও বাজারটিতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০১ কোটি ৪০ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭০৩ কোটি ৫১ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আরএসআরএম স্টিলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, কুইন সাউথ টেক্সটাইল এবং অ্যারামিট লিমিটেড।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৮২ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।
এমএএস/জেডএ/আরআইপি