সরকার চলতি বছর বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে দেড় লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সংগ্রহের প্রায় অর্ধেক সময় হয়ে গেলেও মাত্র ২ হাজার ৫০০ টনের মতো ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য অধিদফতর।
Advertisement
গত ৮ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান (দেড় লাখ টন ধানে এক লাখ টন চাল পাওয়া যাবে) সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৩৮ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৭ টাকা কেজি দরে আতপ চাল এবং ২৬ টাকায় ধান কেনা হবে। গত ২ মে থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হয়েছে, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে।
জানা গেছে, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করতে পারছে না। ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা।
খাদ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৩ টন, আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৯৬১ টন। ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৩ টন।
Advertisement
২৫ জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮৮ টন সিদ্ধ এবং ৬৫ হাজার ৩৮১ টন আতপ চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) জাগো নিউজকে বলেন, ‘যেখানে ধান সংগ্রহের অগ্রাধিকার আছে সেখানে সংগ্রহ হচ্ছে। ধান রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের একটু সমস্যা হয়। তাই যেখান থেকে ধান সংগ্রহ করলে কৃষক লাভবান হবে, যেখান থেকে ধান পরিবহন সহজ হবে সেখান থেকে আমরা ধান সংগ্রহ করে থাকি। আমাদের গুদাম খালি হওয়া সাপেক্ষে আমরা ধান কিনে থাকি। এটা ক্রমান্বয়ে আমরা কিনে থাকি। ধান কম কেনা হচ্ছে না। আমাদের সংরক্ষণ সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা ধান কিনছি।’
তিনি বলেন, ‘ধান কিনতে না পারলে দেড় লাখ টন সমপরিমাণ চালও আমরা সংগ্রহ করতে পারব। সেই সুযোগও রয়েছে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টন। গত বছর এই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার।
Advertisement
আরএমএম/এসআর/জেআইএম