কর্পুর সবাই চিনি। প্রয়োজনে ব্যবহারও করি। প্রাচীনকালে এবং মধ্যযুগে ইউরোপে বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাদ্যসামগ্রীকে সুগন্ধযুক্ত করতে কর্পুর ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এর প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে আসুন জেনে নেই কর্পুর চাষের নিয়ম-
Advertisement
কর্পুর পরিচিতি: কর্পুর বড় ধরনের চিরসবুজ গাছ। এই গাছ প্রধানত তেল ও কর্পুর তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এর তেল থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে কর্পুর বের করে আনা হয়।
চারা তৈরি: দুটি পদ্ধতিতে কর্পুর গাছের চারা তৈরি করতে পারবেন-১. সাধারণত গাছের বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয়ে থাকে। ২. শক্ত ও নরম কাঠের ডাল কেটে কলম করেও চারা তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন- টবে মিশরীয় ডুমুর চাষ করবেন যেভাবে
Advertisement
তৈরির সময়: কর্পুর গাছের চারা সাধারণত গ্রীষ্মকালে তৈরি করা হয়। তারপর সেখান থেকে চারা গজালে ওই চারা জমিতে রোপণ করা হয়।
জমি তৈরি: দুটি ধাপে জমি তৈরি করতে হবে- ১. প্রথমে মাটিতে প্রায় ১০ মিটার পর পর গর্ত তৈরি করতে হবে।২. চারা লাগানোর আগে জমিতে সঠিকভাবে জৈব সার দিতে হবে।
রোপণ: কর্পুর গাছের চারা রোপণের ক্ষেত্রে নিচের নিয়মগুলো মানতে হবে- ১. প্রতিটি গর্তে একটি করে চারা রোপণ করতে হবে। ২. বীজতলায় চারা একটু বড় হলেই চারা তুলে রোপণ করতে হবে। ৩. বর্ষার আগে রোপণ করা ভালো। তাহলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
উৎপাদন: গাছ দ্রুত বাড়ন্ত হলে ৫ থেকে ৬ বছর বয়স্ক গাছের পাতা ও ডাল কেটে কর্পুর উৎপাদন বাড়ানো যায়।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম