আগামী জুলাই মাসেই শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে বিশ্ব। দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে ২৭ জুলাই। রক্তিম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
Advertisement
চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়াটি ৪ ঘণ্টা ধরে চলবে। এ সময় চাঁদ একেবারে অদৃশ্য হবে না। হলুদ ও লালের সংমিশ্রণে দেখা যাবে চাঁদকে।
ওয়েবকাস্ট ছাড়া উত্তর আমেরিকায় চন্দ্রগহণ দেখা যাবে না। তবে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লোকজনের কাছে চন্দ্রগহণ দৃশ্যমান হবে। তবে সূর্যগ্রহণের মতো চন্দ্রগ্রহণের সময় ব্লাডমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ জিনিসপত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে গেলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়। এ সময় খালিচোখে, টেলিস্কোপ বা বায়নোকুলার ব্যবহার করেও চাঁদ দেখা যাবে।
Advertisement
চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি তীব্র লাল অথবা লালচে ধূসর রং ধারণ করবে। সে সময় এটি পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে না।
পুরো চন্দ্রগ্রহণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং কেন্দ্রীয় এশিয়ার লোকজন উপভোগ করতে পারবেন। চন্দ্রগ্রহণের শুরুর মুহূর্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং শেষ মুহূর্ত পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দৃশ্যমান হবে।
আর্থস্কাই.ওআরজির খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সময় রাত ৮টা ২১ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে ৮টা ১৩ মিনিটে। অর্থাৎ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ধরে স্থায়ী হবে।
পরবর্তী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ উত্তর আমেরিকায় ২০১৯ সালের ২১ জুন দৃশ্যমান হবে। এটি ১ ঘণ্টা ২ মিনিট ধরে স্থায়ী থাকবে।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম