সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করায় এবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপির আরেক মনোননয়ন প্রত্যাশী ও দলটির মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
Advertisement
গত ২৪ জুন মনোনয়ন ফরম কেনে বদরুজ্জামান সেলিম জানিয়েছিলেন, আরিফুল হক দলের কোনো প্রার্থী নয়। তিনি মিডিয়ার প্রার্থী। কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে ইতোমধ্যে আরিফের দলীয় অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। তাকে এখনও দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আমি শতভাগ আশাবাদী দল এবার আমাকে মূল্যায়ন করবে। কেন্দ্র থেকে আমাকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে।
দলীয় মনোনয়ন ঠেকাতে মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম স্বাক্ষরিত ৫ পৃষ্ঠার অভিযোগ পাঠানো হয় দলের হাইকমান্ডের কাছে। সিলেট মহানগর বিএনপির প্যাডে লেখা চিঠিতে আরিফুল হকের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ তোলা হয়। তবুও বিএনপির মনোনয়ন পান আরিফুল হক চৌধুরী।
বিএনপির হাইকমান্ডের বুধবারের সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে সেলিম বলেন, দল থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমি মোটেও খুশি নই।
Advertisement
নগর বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমরা নতুন মুখ দেখতে পাই। আমার প্রত্যাশা ছিল সিলেট সিটির নির্বাচনেও নতুন মুখ দেখতে পাব। দলের এমন সিদ্ধান্তে আমি মোটেও খুশি হয়নি। আমাকে ব্যথিত করেছে এমন সিদ্ধান্ত।
পৃথকভাবে নির্বাচন করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, এই মুহূর্তে আমি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। পরবর্তীতে কি হবে তা এখন আমি বলতে পারছি না।
এর আগে আরিফের প্রতি বিভিন্ন সময় ক্ষোভ দেখান বিএনপির এই নেতাসহ দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা। তাদের অভিযোগ, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়মিত হয়ে পড়েন আরিফ। এড়িয়ে চলতে থাকেন দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি। আরিফকে মনোনয়ন না দেয়ারও দাবি করেছিলেন তারা।
তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা দলীয় প্রার্থী হিসেবে বুধবার আরিফুল হকের নাম ঘোষণা করেন। আরিফ-সেলিম ছাড়াও মেয়র পদে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সিলেট মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সহসভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও মহানগর যুবদল নেতা ছালাহউদ্দিন রিমন।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম