পেশায় তিনি অটোচালক। তার ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ রুপি। এ ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন? শেষমেশ ঋণ পরিশোধ করতে নিজের মেয়ে ও স্ত্রীকে বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি। প্রথমে মেয়েকে বিক্রির জন্য ক্রেতার সাথে দেড় লাখ রুপিতে বন্দোবস্ত হয় তার। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির চার মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে, যারা সবাই নাবালক। মেয়ের বয়স ১২ বছর হলেই দেড় লাখ রুপির বিনিময়ে তিনি নিজের মেয়েকে ক্রেতার কাছে সপে দিবেন- এক মাস আগে এ বিষয়ে একটি চুক্তি করেন ওই ব্যক্তি। ১২ বছর বয়স পূর্ণ হবার আগে মেয়েকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে হবে এবং পরে তাকে হন্তান্তর করতে হবে-চুক্তিতে এই শর্তও উল্লেখ ছিল।
মেয়ের মা জানান, সম্প্রতি তিনি তার স্বামীর কুমতলব সম্পর্কে জানতে পারেন। চুক্তিতে নামের তালিকায় তার নামও ছিল। তার ধারণা, তার স্বামী বাকি চার সন্তানকেও হয়তো বিক্রির চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাদকাসক্ত ওই ব্যক্তি ৫ লাখ রুপির বিনিময়ে তার খালাতো ভাইয়ের কাছে নিজের স্ত্রীকে বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ওই স্ত্রী স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন এবং হায়দরাবাদে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
Advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের পরে এ বিষয়ে মামলা গ্রহণ করা হবে। তবে সূত্রগুলোর দাবি, পুলিশ মামলা না নিয়ে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে মেটানোর চেষ্টা করছে।
ইন্টেগ্রেটেড টাইল্ড ডেভেলভমেন্ট সার্ভিসের কর্মকর্তা এঞ্জেলা জানান, এ বিষয়ে অবশ্যই মামলা করা হবে। কারণ, এটা গুরুতর অপরাধ। শিশু নিরাপত্তা কর্মকর্তা সারাদা জানান, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য জেলা শিশু কল্যাণ কমিটি বিষয়টি দেখবে।
এসআর/টিটিএন/জেআইএম
Advertisement