ক্যাম্পাস

চাষেই মিলবে গাং মাগুর

গাং মাগুরের বৈজ্ঞানিক নাম হেমিবার্গাস মেনোডা (Hemibagrus menoda)। মাছটি আরও কিছু লোকাল নামেও পরিচিত যেমন- ঘাঘল, ঘাঘলা, গাং টেংরা ইত্যাদি। গাং মাগুরের দুটি প্রজাতি রয়েছে একটি স্বাদু পানির অপরটি সামুদ্রিক। এই প্রজাতিটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস নদী ও হাওড় অঞ্চলে পাওয়া যায়। মাছটি ওজনে ১-২কেজি হয়। শান্ত প্রকৃতির মাছের এই প্রজাতিটি সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে মূল্য বেশি। প্রতি কেজি প্রায় ৭০০-১০০০ টাকা।

Advertisement

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, নদী ও জলাশয় দূষণ ও নির্বিচারে মৎস্য সম্পদ আহরণের ফলে এ মাছটি বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। আইইউসিএন রেড লিস্ট বাংলাদেশ ২০১৬ অনুযায়ী মাছটি প্রায় বিপদগ্রস্তের (Near Threatened) তালিকাভূক্ত।

গত দুই বছর আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক গাং মাগুরের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা অর্জন করে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষাবাদে সফল হয়েছেন তারা।

মাছের এ প্রজাতিটিকে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে স্বাদু পানিতে গাং মাগুরের প্রজনন জীববিদ্যা ও কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির উপর খামারিদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রামের (এনএটিপি) প্রকল্পের অধীনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

ফলে হুমুকির সম্মুখীন সুস্বাদু এই মাছটি প্রান্তিক পর্যায়ে চাষের মাধ্যমে হুমকির অবস্থা হতে ফিরিয়ে আনা, আমিষের চাহিদা পূরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গবেষকরা।

ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস মিয়া। পরে অনুষদীয় মাঠ গবেষণাগার পরিদর্শন করেন খামারিরা। প্রশিক্ষণে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার ৩২ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিলুপ্ত প্রায় এ গাং মাগুর চাষে আগ্রহী খামারিদের পরবর্তীতে গাং মাগুরের পোনা সরবরাহ করা হবে।

শাহীন সরদার/আরএআর/জেআইএম

Advertisement