দেশজুড়ে

সাইদুল হত্যা : ঘাতক গ্রেফতার, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপোতে প্রতিপক্ষের ছুড়িকাঘাতে সাইদুল ইসলাম অনিক (২০) নিহতের মাত্র দুই ঘণ্টার মাথায় ঘাতক তৈয়ব ও রাসেলকে গ্রেফতার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোররাতে স্থানীয় একটি পুকুর পাড় থেকে ঘটনায় ব্যবহার করা রক্তমাখা ছুরি, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

এদিকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শেষে ফিরে আসার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তৈয়ব অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছে।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, আতুরার ডিপো এলাকায় কয়েকমাস ধরে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছিলেন এক নারী। স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর সাথে ‘কথা বলতেন’ ওই এলাকার বাসিন্দা মো. তৈয়ব (২৪)। এতে আপত্তি ছিল সাইদুল ইসলাম অনিকের (২০)। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার ৯ টার দিকে তৈয়বের নেতৃত্বে রাসেল (২৫), শাহাদাৎ ও জুয়েলসহ তাদের সহযোগীরা সাইদুল ইসলাম অনিক ও হারুনুর রশিদ সম্রাটদের উপর হামলা করে।

তিনি আরো জানান, হামলার সময় ছুরিকাহত হন অনিক। পরে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতলে মারা যায় সে। সম্রাট ছুরিকাহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আতুরার ডিপো জাঙ্গালপাড়া এলাকা থেকে প্রধান আসামি তৈয়ব ও রাসেলকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

Advertisement

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আবদুল ওয়ারীশ জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রেফতারের পর তৈয়বের তথ্যমতে, বুধবার ভোররাতে জাঙ্গালপাড়া বুইজ্জা পুকুর পাড় থেকে ঘটনায় ব্যবহার করা রক্তমাখা টিপ ছুরি, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, অভিযানে গিয়ে এসআই কাওছার, মোতালেব ও মোমিনসহ ছয়সহ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত তৈয়বকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

আবু আজাদ/এসএইচএস/জেআইএম

Advertisement