হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইনে (১০৬) যাত্রী হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থাটির একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান চালায়। অভিযোগটি হলো- বিমানবন্দরের এক নিরাপত্তারক্ষী ভারত থেকে আসা এক যাত্রীকে হয়রানি ও অনৈতিক অর্থ দাবি করেন।
Advertisement
দুদকের সহকারী পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালায়। এ সময় তারা বিমানবন্দরে সংরক্ষিত ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করেন। তাতে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে শনাক্ত করা যায়। তিনি বিমানবন্দরের কাস্টমসে কর্মরত। পরবর্তীতে বিমানবন্দর কাস্টমস কমিশনারকে এ ঘটনা জানানো হয়। এরপর এই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে দুদক টিমকে নিশ্চয়তা প্রদান করেন কাস্টমস কমিশনার।
মঈনুল হাসান রওশনী জানান, ভবিষ্যতে দুর্নীতি ও হয়রানি রুখতে কাস্টমস চেকিং পয়েন্টগুলোতে কমিশনার নিজের মোবাইল নম্বর প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। যাতে কেউ হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার নিকট অভিযোগ করতে পারেন।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, বিমানবন্দরে দুর্নীতি ও হয়রানির ঘটনা দেশের ভাবমূর্তিকে ম্লান করে, তাই এসব ঘটনা কঠোর হাতে দমন করা প্রয়োজন।
Advertisement
এদিকে বগুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদায়নে ঘুষ এবং অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ দুদকের হটলাইনে (১০৬) আসলে গত ২৫ জুন বগুড়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলীকে দুদকে তলব করা হয়। দুদকের একাধিক দায়িত্বশীল নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
দুদক কার্যালয়ে এসে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, পছন্দের বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য শিক্ষকরা তদবির করছেন, কিন্তু তিনি নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে কোনো পদায়ন করবেন না। তার কাছ থেকে এই মর্মে অঙ্গীকারনামা নেয়া যে, পদায়নে কোনো দুর্নীতি করবেন না। এ ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার তার নিয়ন্ত্রণাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণের জন্য তার কাছে দেয় দুদক।
অপরদিকে বগুড়া দুদক কার্যালয়কে মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement