জাতীয়

শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে চলছে নন-এমপিওদের অনশন

এমপিওভুক্তির দাবিতে শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে তৃতীয় দিনের মত আমরণ অনশন করছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই তারাদাবি আদায়ে এমন কঠিন কর্মসূচি পালন করছেন। এ আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৩৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

Advertisement

‘মা ভাত দাও, এমপিওভুক্তি ছাড়া ক্লাসে ফিরে যাবো না’, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে’, ‘এক দফা এক দাবি এমপিওভুক্তিকরণ করতে হবে’ এমন নানা শ্লোগান লেখা ফেস্টুন বুকে ঝুলিয়ে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যনারে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন। অনেকে শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে রাস্তায় শুয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দিওড় নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্যালাইন লাগিয়ে রাজপথেই শুইয়ে রাখা হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, আমরা সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেও ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক মানবেতর জীবন-যাপন করছি। বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণ করতে পারছি না। আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও নেই। তাই অনেক শিক্ষক পেটের তাগিদে রাতে ভ্যান, রিক্সা, টেক্সি চালাতে বা দিনমজুর খাটতে বাধ্য হন। তবুও এমপিওভুক্তির অফুরন্ত আশায় শিক্ষাকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তারা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষক-কর্মচারীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যান। এমপিওভুক্তির বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা উল্লেখ না করে আমাদের গভীর অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে রাজধানীর ফুটপাতে বসে অনশন করে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন বলে জানান তারা।

Advertisement

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভুষণ রায় জাগো নিউজকে বলেন, আমরা টানা ১৫ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা গত তিন দিন ধরে আমরণ অনশন পালন করছি।

তিনি এ আন্দোলনে কোনো শিক্ষকের রাজপথে মৃত্যুর দুঃসংবাদ পাওয়ার আগেই স্কীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

এমএইচএম/এমএমজেড/পিআর

Advertisement