আইন-আদালত

দুর্নীতি মামলায় খালেদার আপিলের শুনানি ৩ জুলাই

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।

এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগ ১৬ মে রায় দেন। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

গত ১৬ মে খালেদাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় দেন।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করা হয়।

১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

Advertisement

পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করে।

ওই লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন।

আপিল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন উচ্চ আদালত।

এর মধ্যে দুদক খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে আবেদন করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এছাড়া ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনও হাইকোর্টে আপিল করেন।

এফএইচ/এমবিআর/পিআর