দেশজুড়ে

গাছে বেঁধে দিনমজুরকে নির্যাতন, মাদরাসা শিক্ষক গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে গাছের সঙ্গে বেঁধে আনিসুর রহমান (৩০) নামে এক দিনমজুরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে।

Advertisement

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রশিদকে (৫০) সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতনে আহত আনিসুর রহমান ৩ দিন ধরে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে, মোবাইলে ধারণ করা দিনমজুর আনিসুর রহমানকে নির্যাতনের ভিডিও এখন ফেসবুকে ভাইরাল। গ্রেফতার আব্দুর রশিদ পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ও পার্শ্ববর্তী আয়নাপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক।

মঙ্গলবার আব্দুর রশিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুন্নিছা খানম বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব-শত্রুতার জেরে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রশিদ পশ্চিম বাঁকাকুড়া গ্রামের দিনমজুর আনিসুর রহমানকে গত ২৩ জুন সকালে গাছ কাটার মিথ্যা অপবাদে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান।

পরে বাড়ির আঙিনায় একটি সুপারি গাছের সঙ্গে আনিসুর রহমানকে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য লতিফা বেগম স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিন তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার আনিসুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় আব্দুর রশিদ, তার ছেলে হালিম মিয়া (২২), চাচা মতিউর রহমান (৫৫), শ্যালক শহিদল মিয়া (৪০) ও স্ত্রী হামেদা বেগমসহ (৪৫) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, আনিসুর রহমানকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওসহ প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার সহযোগী ও অন্যান্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

Advertisement

হাকিম বাবুল/এএম/আরআইপি