খেলাধুলা

লড়াইটা মেসি-মুসারও

তৃতীয় মিনিটেই লিওনেল মেসির গোল। পরের মিনিটেই আহমেদ মুসা। আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার স্কোর ১-১। বিরতির ঠিক আগে আবার মেসি, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আহমেদ মুসা। এবার আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ২-২। ৫০ মিনিটে মার্কোস রোহোর গোলটি শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকলো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক। আর্জেন্টিনা জিতে গেলো ৩-২ গোলে।

Advertisement

এটি ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচের চিত্র। দিনটি ছিল চার বছর আগে ২৫ জুন। ভেন্যু ব্রাজিলের পোর্তো আলেগ্রির বেইরা রিও স্টেডিয়াম। ‘এফ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দুই জায়ান্ট। এ ম্যাচের আগে যদিও নিশ্চিত হয়েছিল দুই দলের পরের রাউন্ড। তবে মেসিদের ঘাম ঝরিয়েই ঘরে ফিরেছিল আফ্রিকার দলটি।

সেই মেসি আর মুসা এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। দুই দলেরই যখন টিকে থাকার লড়াই তখন মেসি আর মুসার দিকেই তাকিয়ে থাকবে তাদের দেশের মানুষ। আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার ম্যাচে লড়াইটা যে দুই দেশের দুই তারকা ফুটবলারেও।

মেসির ক্লাব স্পেনের বার্সেলোনা, মুসার ইংল্যান্ডের লেস্টারসিটি। যদি এ নাইজেরিয়ান এখন লোনে আছেন রাশিয়ারই ক্লাব সিএসকেএ মস্কো। লেস্টারসিটিতে যাওয়ার আগে রাশিয়ার এ ক্লাবেই কাটিয়েছেন চার বছর। মস্কোর ক্লাবের জার্সি গায়ে করেছিলেন ১২৫ ম্যাচে ৪২ গোল। সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরটা যে মুসার বাড়ীর উঠান। এখানকারও আবহাওয়াও তার পরিচিত। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে চেনা পরিবেশেই খেলতে নামবেন ২৫ বছরের এ নাইজেরিয়ান যুবক।

Advertisement

মেসির মতো যশ-খ্যাতি নেই আহমেদ মুসার; কিন্তু দেশে সে মহা তারকা। বিশেষ করে আগের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে হিরো বনে গিয়েছিলেন দেশের মানুষের কাছে। এবারের বিশ্বকাপেও আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছেন জোড়া গোল। পরপর দুই বিশ্বকাপে জোড়া গোল করা প্রথম নাইজেরিয়ান ফুটবলার আহমেদ মুসা।

মেসির সঙ্গে আহমেদ মুসার তুলনা করা বাড়াবাড়ি; কিন্তু মাঠে যদি তিনি ব্যবচ্ছেদ তৈরি করে দিতে পারেন, তাহলে নাইজেরিয়ানদের চোখে তিনি হয়ে উঠবেন মেসির চেয়েও বড় তারকা। ৪ বছর আগের মুসা যে বদলাননি এবং তার আক্রমণ হয়েছে আরো ক্ষুরধার, তাতো বুঝিয়ে দিয়েছেন আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচ জিতিয়ে।

আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যেমন তাকিয়ে থাকবেন মেসির দিকে, তেমন নাইজেরিয়ানদের সব চোখ আছড়ে পড়বে আহমেদ মুসার উপর। ২০১০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর থেকে খেলেছেন ৭৪ ম্যাচ। গোল করেছেন ১৫টি। এর মধ্যে বিশ্বকাপেই ৪ গোল।

নাইজেরিয়া প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে আইসল্যান্ডকে হারায় ২-০ গোলে। টিকে থাকার ম্যাচে এই বিশ্বকাপে মেসির চেয়ে গোল করায় নিজেকে এগিয়ে রেখেছেন মুসা। নাইজেরিয়ান সুপার স্টারের ঝুলিতে যেখানে গোল দুটি, সেখানে মেসির গোলের খাতা শূন্য।

Advertisement

আরআই/আইএইচএস/এমএস