জাতীয়

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩৫ হাজার ১১২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০ মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে তিন কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৬১১ পিস ইয়াবা। এ ছাড়া চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে মে ও জুনে ১৫ হাজার ৩৩৩ মামলায় ২০ হাজার ৭৬৭ আসামিকে গ্রেফতার এবং ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৭ পিস ইয়াবা জব্দ এবং এক হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (নেত্রকোনা-৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে উভয় দেশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও মহাপরিচালক, নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো, ভারতের সঙ্গে পাঁচটি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে মিয়ানমার ও ভারতের মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা উভয় দেশের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ এবং সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে শক্তিশালী ও ঢেলে সাজাতে জনবল এক হাজার ৭০৬ জন থেকে আট হাজার ৫০৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে।

এমপি দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৬৮টি কারাগার রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি কারাগার নব নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ করে চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে আটটি নতুন কারাগারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। নতুনভাবে আরও ছয়টি কারাগার সংস্কারের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

এইচএস/এএইচ/এমএস