বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোট দিল গাজীপুর মহানগরবাসী। এখন ফলাফলের অপেক্ষা। চলছে ভোট গণনা।
Advertisement
এদিকে সকাল ৮টায় ৪২৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর জোর করে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরার চেষ্টা ও অনিয়মের অভিযোগে চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মিডিয়া সেলে দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য ৯৮ নম্বর, ৩৮৩ নম্বর, ৩৭২ নম্বর ও ৩৭৩ নম্বর কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখার খবর তারা পেয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে গাজীপুরের ছয়দানায় নিজ বাসভবন থেকে বের হয়ে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম। সোয়া ৯টার দিকে তিনি ভোট দেন।
Advertisement
ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছে উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে যে রায় দেবেন, সেই রায় আমি মেনে নিতে প্রস্তুত। জয়কে জয় আর পরাজয়কে পরাজয় মেনে নিতে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি।
এদিকে ভোট চলাকালে মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সিটি নির্বাচন বন্ধের দাবি জানান বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, প্রায় ১০০ কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ভোট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
ইসির পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, যদি তারা ভোট গ্রহণ বন্ধ না করে, তাহলে আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাবো।
এবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)।
Advertisement
আরএআর/এমএস