রাজনীতি

বিএনপিকে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার পরামর্শ সিইসির

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। প্রতিনিধি দলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সও ছিলেন।

সিইসির পরামর্শে আশ্বস্ত হতে পেরেছেন কি না- জানতে চাইলে আলাল বলেন, আমরা আশ্বস্ত হতে পারিনি। তবে আমাদেরকে সময় দিয়েছেন সেজন্য তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে চিত্র তা হলো নির্বাচনটা কিন্তু একদিনের জন্য না। তফসিল থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন। সেখানকার পুলিশ সুপার, তার নেতৃত্বে জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ সেখানে আজকে চূড়ান্ত রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন। খুলনা সিটি নির্বাচনের মতো গাজীপুর সিটি নির্বাচনের শুরু থেকেই সেখানকার পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়নি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে ২১টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে পুলিশ, জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ এবং সাদা পোশাক পরা পুলিশের নেতৃত্বে। আমাদের এজেন্টদের প্রথমে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ডিবি পুলিশ এসে তাদেরকে নিয়ে যায়, বলে চলেন কথা আছে। অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইসির মোবাইল টিম, মনিটরিং টিম থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের প্রতিনিধিরা কোনো উত্তর পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি প্রিজাইডিং, রিটার্নিং অফিসার যদি পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, সেই যুদ্ধ করার মতো ক্ষমতাতো আমাদের হাতে নেই। আমরা তো একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এটাই আমরা বুঝানোর চেষ্টা করেছি এবং এখন পর্যন্ত যতটুকু সময় আছে। সেই সময়ে অন্তত পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাহলে আমরা মনে করি, মানুষ কিছুটা আশ্বস্ত হবে যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আংশিক হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখাতে পেরেছে।

এইচএস/এমএমজেড/জেআইএম

Advertisement