আল্লাহ যে কাজে সবচেয়ে বেশি খুশি হন তাহলো তাওবাহ। কারণ তাওবার মাধ্যমে মানুষ এমন কিছু জিনিস লাভ করে যা অন্য কোনো আমলে সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা সে বর্ণনা করেছেন। যা হজরত হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন।
Advertisement
একবার ৩ জন লোক হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসলেন। তাদের একজন তার কাছে অনাবৃষ্টির অভিযোগ করে বলেন যে, দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না।
তিনি বললেন, ‘বেশি বেশি তাওবাহ করো।
অন্যজন বলল, ‘আমার কোনো সন্তান নেই; আমি সন্তানের আগ্রহী। তাঁকেও তিনি উত্তরে বললেন, ‘বেশি বেশি তাওবাহ করো।
Advertisement
তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ করল যে, এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। কোনো ফসল উৎপন্ন হচ্ছে না। যে ফসল উৎপন্ন হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাকেও তিনি বললেন, ‘বেশি বেশি তাওবাহ করো।
আরও পড়ুন > বান্দার নিয়মিত তাওবা ও ইসতেগফারের সুফল
তাঁর সামনে বসা উপস্থিত লোকজন আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুলের নাতি! তিনজনে ৩ ধরনের সমস্যা নিয়ে এসেছে; অথচ আপনি সবাইকে একই উত্তর দিয়ে বেশি বেশি তাওবাহ পড়তে বললেন।
এবার হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আপনারা কি আল্লাহর বাণী পড়েননি? আল্লাহ তাআলা নিজেই তো এসব কথা ঘোষণা করেছেন-
Advertisement
‘স্বীয় প্রভুর কাছে তাওবাহ করো। নিঃসন্দেহে তিনি তাওবাহ কবুলকারী, তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন; তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন আর নদ-নদি প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)
আরও পড়ুন > তাওবা কবুল ও ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
সুতরাং বৃষ্টি বা সম্পদই নয় বরং যদি সন্তান-সন্ততিও প্রয়োজন হয়; তবে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে ফিরে আসুন। আল্লাহ তাআলা তাঁর সম্পদের ভাণ্ডার তাওবাহকারী বান্দার জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। এটা মহান আল্লাহ তাআলার ওয়াদা। যা তিনি সুরা নুহের ১০-১২নং আয়াতে ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনা করুন-اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চির প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুরুত্বপূর্ণ আমল তাওবাহ করে মানুষকে তাঁর কাছে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার যাবতীয় চাহিদা তাঁরই কাছে পেশ করার মাধ্যমে নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর