তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেট উইক আয়োজনের সহযোগিতায় আইসিটি বিভাগ

বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ ইন্টারনেটের প্রচার, প্রসার ও এর সুফলগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে দেশব্যাপি শুরু হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট উৎসব ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’। দেশের তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় প্রদর্শনী ও ৪৮৭টি উপজেলায় একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আয়োজিত হবে এই উৎসব।বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও গ্রামীণফোনের যৌথ এই আয়োজনের সহযোগিতায় যুক্ত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এ উপলক্ষে সোমবার আইসিটি বিভাগ ও বেসিসের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশীদ ও বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল চুক্তিতে সই করেন।এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বেসিসের পরিচালক আশরাফ আবির, নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বে একসঙ্গে প্রায় ৪৮৭ জায়গায় এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের নজির এখনো নেই। এই আয়োজনে সহযোগিতায় থাকার জন্য আমরা আনন্দিত। আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে এই আয়োজনকে সফল করতে বিভিন্ন প্রস্তাবনাও দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।বেসিস সভাপতি শামীম আহসান জানান, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে প্রতিবছর ন্যূনতম ১ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ানো, সাধারণ জনগনকে আরো বেশি অনলাইন সেবার আওতায় আনাসহ তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটভিত্তিক উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিতকল্পে এগিয়ে যাওয়াও এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এই আয়োজনে আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপি ইন্টারনেট উইকের ব্যাপ্তি আরো বেড়ে যাবে। আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন সাধারণ জনগনকে ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহী করা হবে, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান তাদের ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য বা সেবাকে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিতে পারবেন।অনুষ্ঠানের সামগ্রিক পরিকল্পনা তুলে ধরেন বেসিসের পরিচালক আশরাফ আবির। তিনি জানান, এই উৎসবে অংশ নিবে ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও সারাদেশের স্থানীয় মোবাইল ভিত্তিক উদ্যোগ। দর্শনার্থীরা এসব সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে ও জানতে পারবেন।এছাড়া দেশের তিনটি বিভাগে ইন্টারনেট মেলার বাইরেও ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে টক-শো আয়োজন করা হবে। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক’ আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।বিএ

Advertisement