জাতীয়

দায়িত্ব নিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জেনারেল আজিজ আহমেদ।

Advertisement

সোমবার সকালে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের  কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

গত ১৮ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে আজিজ আহমেদকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে ২৫ জুন থেকে দায়িত্ব নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

Advertisement

এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিজিবির মহাপরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি হন। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি তাকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

তিনি অষ্টম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদফতরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদফতরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একটি আর্টিলারি ইউনিট, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন, বিজিবির একটি সেক্টর, স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডসহ মোট দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশন দক্ষতার সঙ্গে কমান্ড করেন।

আজিজ আহমেদ ১৯৬১ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১০ জুন ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ৮ম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার ইন ডিফেন্স স্টাডিজ, এমএসসি (কারিগরি) এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এক্সিকিউটিভ) ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে তিনি ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, বিজিবি’র মহাপরিচালক, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড ও সেনাসদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের অধিনায়ক, দুটি আর্টিলারি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, একটি বিজিবি সেক্টরের কমান্ডার, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবজারভার হিসেবে ইরাক-কুয়েত এবং সুদানে ফোর্স কমান্ডারের মিলিটারি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

Advertisement

বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিজিবি’র পুনর্গঠন ও উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পিজিবিএম পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি গত ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

এআর/আরএম/জেএইচ/পিআর