ঢাকার মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনসহ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে এ দুই মামলায় হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
Advertisement
রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের আদেশ বহালই থাকলো।
Advertisement
গত ৩১ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনসহ আবেদন নিষ্পত্তিতে বিচারিক আদালতের প্রতি আদেশ দিয়েছিলেন। পরে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। গত ২২ মে হাইকোর্টে এ দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা দু’টি করা হয়। দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৭ মে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেদন জমা দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এ বি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা করেন। এছাড়া ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট একই আদালতে একটি মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।
Advertisement
এফএইচ/আরএস/জেআইএম