রাজনীতি

লতিফ সিদ্দিকীকে অব্যাহতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

পবিত্র হজ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহববুল আলম হানিফ এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে অবস্থান করছেন। আজ বুধবার তাঁর ঢাকার পথে রওয়ানা হওয়ার কথা।মাহববুল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং ক্যাবিনেট সচিবসহ অনেকেই দেশের বাইরে থাকায় তাঁর অব্যাহতি পত্র এখনো দেয়া হয়নি। তবে তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি দেয়া হবে।তিনি জানান, লতিফ সিদ্দিকী হজ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার দায় সরকার বা দল নেয়নি। নিতে পারে না। তাই এর দায়দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করেছেন। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করার শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে।উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কের টাঙ্গাইলবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী।তিনি আরও বলেন, এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ও বাদ যায়নি। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। ‘জয় ভাই’ কে। জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন।টেলিভিশন টক শোরও কঠোর সমালোচনা করেন আলোচিত এই মন্ত্রী। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বারবার উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এক সাংবাদিককে ধমক দিয়ে বলেন, আমি কি তোমার মতো কথা বলবো। আমি আমার মতো কথা বলবো। তুমি এখানে আসলা কেন, তোমাকে কে বলেছে আসতে?

Advertisement