জাতীয়

এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু

এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা ১৫ দিন আন্দোলনের পর আজ (সোমবার) থেকে আমরণ অনশন পালন করছেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। সোমবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে তাদের এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

Advertisement

গত ১০ জুন থেকে চলা টানা আন্দোলনের পরও সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না পেয়ে আমরণ অনশন মতো কঠিন কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তারা। ‘এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ফিতা মাথায় বেঁধে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। শিক্ষক নেতারা নানা স্লোগানে আন্দোলনকে চাঙ্গা করে তুলছেন।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা টানা ১৫ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই শনিবার প্রতীকী আমরণ অনশন করছি। রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিদিন এ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। তাদের উপস্থিতিতে আমাদের ন্যায্য দাবির এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। আমরা ক্ষুধার জ্বালায় রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় ছাড়া আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না।

Advertisement

গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, রাজপথে খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে ধুলাবালি, গাড়ির ধোঁয়া আর অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে টানা ১৫ দিন আন্দোলন করে ১২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়ে ফিরলেও বাকি সাতজন এখনও চিকিৎসারত রয়েছেন। এর মধ্যেই আমাদের আমরণ পালিত হচ্ছে। এতে যদি কোনো অঘটন ঘটে তবে তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের যোগদানের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। আমরা ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। এখন যদি ৩৫ বছর নির্ণয় করা হয় তবে আমাদের কি পরিণতি হবে? আমরা কোনো নীতিমালা বা কমিটি মানি না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা না হলে প্রাণ গেলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

এমএইচএম/এমবিআর/জেআইএম

Advertisement