মিয়ানমারকে একমাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে মিয়ানমার সরকারকে এক মাসের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার গার্ডিয়ান পত্রিকার এক খবরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আইসিসির কাছে যেসব প্রমাণাদি পাঠানো হয়েছে এবং বিভিন্ন তদন্ত রিপোর্টের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
এসব রিপোর্টে ১০ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে বেশ কয়েকবার গণধর্ষণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের বাকি সদস্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেখানে আরও এক নারীর ওপর অত্যাচারের কথাও বলা হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল মিয়ানমারের সেনারা। ১০ বছর বয়সী ওই কন্যাশিশু এবং ওই নারীটির মতো আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নারী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাদের চোখের সামনেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইসিসি তাদের একটি সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছে যেখানে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলেছে। মিয়ানমার সরকার আইসিসির সদস্য না হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার বিষয়ে তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে তদন্তের ক্ষমতা ও অধিকার সংস্থাটির রয়েছে এবং এ কারণেই মিয়ানমার সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
Advertisement
আইসিসির কৌসূলী ফাতাউ বেনসৌদা এক বিবৃতিতে মিয়ানমারকে আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত শেষ সময়সীমা বেধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজেদের দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের পর্যবেক্ষণ আইসিসির কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
ফাতাউ বেনসৌদা কয়েক মাস আগেই রোহিঙ্গারা কেন বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। মিয়ানমারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দেশটিকে আল্টিমেটাম বেধে দেয়া হলো। এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে আইসিসির দ্বারস্ত হতে হবে মিয়ানমারকে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement