গতবারের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা দলটিই এই ম্যাচের আগে বেশ চাপের মুখে। বলছি কলম্বিয়ার কথা। প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে হোসে পেকারম্যানের দলের। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। পোল্যান্ডের জন্যেও একই সমীকরণ। ক্লাব ফুটবলে একসঙ্গে খেলা লেভেন্ডোভস্কি ও হামেস রড্রিগেজের ব্যক্তিগত লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতলেন হামেস রড্রিগেজই। কলম্বিয়ান খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পোল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে টিকে রইল লাতিন আমেরিকার দেশটি।
Advertisement
বিশ্বকাপ ইতিহাসে কখনও গোলশূন্য ড্র করেনি কলম্বিয়া। এই সমীকরণই আশা জাগাচ্ছিল, গোল হতে যাচ্ছে এই ম্যাচে। শুরুর ত্রিশ মিনিট কোনো দলই তেমন শট নিতে পারেননি গোলমুখে। সুযোগ তৈরি করলেও নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল করতে পারছিল না কোনো দলই।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচের ৪০ মিনিটে গোলের দেখা পায় কলম্বিয়া। কর্নার থেকে ফ্যালকাও কোয়াদ্রাদোকে পাস দিলে, তিনি পাঠান হামেসের কাছে। হামেস রড্রিগেজের নিখুঁত ক্রসে দারুণ হেডে গোল করে কলম্বিয়াকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন চলতি বছরেই বার্সায় যোগ দেয়া হলুদ জার্সিধারীদের রক্ষণভাগের কাণ্ডারি ইয়ারি মিনা। প্রথমার্ধে দু’দল মিলে ওই একটি শটই গোলমুখে নিতে পেরেছে যেটিতে গোল হয়েছে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কলম্বিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে কলম্বিয়া। ৫২ মিনিটে কুয়াদ্রাদোর পাস থেকে মাত্র ১৬ গজ দূর থেকে শটে গোল করতে ব্যর্থ হন ফ্যালকাও। তবে গোল পেতে ফ্যালকাওকে অপেক্ষা করতে হয় ৭০ মিনিট পর্যন্ত। কুইন্তেরোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের উল্টো পাশ দিয়ে দারুণ শটে গোল করেন রাদামেল ফ্যালকাও। বিশ্বকাপে এটি তার প্রথম এবং কলম্বিয়ার জার্সি গায়ে ৩০তম গোল। জাতীয় দলের হয়ে তার থেকে বেশি গোল করতে পারেনি আর কেউ।
Advertisement
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও চাপ অব্যাহত রাখে পেকারম্যানের দল। ৭৫ মিনিটে দলকে তিন গোলের লিড এনে দেন জুভেন্টাস তারকা কুয়াদ্রাদো। কুয়াদ্রাদোর গোলের যোগানদাতাও সেই হামেস রড্রিগেজ। ম্যাচে জোড়া এসিস্ট করলেন গত মৌসুম লোনে বায়ার্নে খেলা এই তারকা। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ২২ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার শট নিলেও গোলের দেখা পাননি এই স্ট্রাইকার। ৩-০ ব্যবধানে হেরে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পোল্যান্ড। অন্যদিকে এই জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা টিকে রইল কলম্বিয়ার। শেষ ম্যাচে সেনেগালকে হারাতে পারলেই পরের রাউন্ডে উঠে যাবে তারা।
আরআর/ওআর