যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল পশু হাট নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে সোমবার বিকেলে ক্ষমতাসীন দু`গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। এসময় বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ইউসুফ আলী ও আজহারুল গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা র্শাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জানা গেছে, সাতমাইল বাজারের পশুহাট নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যান বকুল ও লতিফ ধাবক গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বকুল গ্রুপ এমপির সমর্থক ও লতিফ ধাবক মেয়র গ্রুপের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। দু`গ্রুপের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত শতাধিক হতাহত হয়েছেন। একপক্ষ ইজারা পেলে অপর পক্ষ মামলা ঠুকে দিয়ে ইজারা বন্ধ করে দেন। এসব ঘটনা নিয়েই প্রায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও যানবাহন। প্রশাসন দু`গ্রুপের মারামারি দেখা ছাড়া কিছুই করতে সাহস পায় না। আর এসব কারণে বর্তমানে পশুহাটটি নিয়ন্ত্রণ করছে উপজেলা প্রশাসন। সাতমাইল পশু হাটের ইজারা নিয়ে বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টে মামলা চলছে। রোববার সেই মামলার দিন ধার্য ছিল। মামলার এক পক্ষ বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুলের আইনজীবী শুনানির দিনে সময় প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। কিন্তু ওই পক্ষের লোকজন এলাকায় সংবাদ দেন তারা হাটের ইজারা পেয়েছেন। এ সংবাদের পর ইজারা পাওয়া আব্দুল লতিফ ধবকের লোকদের উপর চেয়ারম্যান গ্রুপের সন্ত্রাসী কবির, মুস্তাক, তুতুল, সোহাগ, সেলিম, হাবিবুর, ছোট বাবু, বড় বাবু, তালেব, শহিদুল, চৌধুরী ও মাসুন হামলা চালান। হামলায় আহতরা হলেন, সাতমাইল গ্রামের বাসিন্দা বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী আব্দুল লতিফ ধাবক গ্রুপের সমর্থক ইউসুফ আলী সরদার (৪৫), আজহারুল ইসলাম (২৫), মনি ধাবক (৩৫) ও বাপ্পী (২০)। শার্শা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ ধাবক জাগো নিউজকে জানান, গোলযোগের জের ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলের চিহিৃত সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালান এবং ইউসুফ আলী সরদার, আজহারুল ইসলাম, মনি ধাবক ও বাপ্পীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান। এদের মধ্যে ইউসুফ আলী ও আজহারুল গুরুতর আহত হন। হামলা করে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি বর্ষণ করে ও ৪/৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল জাগো নিউজকে জানান, আমার কোনো লোক তাদের ওপর হামলা চালানোর প্রশ্নই আসে না। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার লোকদের উপরে হামলা চালাচ্ছেন। ইজারার টাকার হিস্যা নিয়ে আভ্যন্তরীণ কান্দলে নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) বায়োজিদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মো. জামাল হোসেন/এমজেড/আরআইপি
Advertisement