লাইফস্টাইল

শিশুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন

শিশু হচ্ছে একটি ঘরের প্রাণ। তার হইচই, দুষ্টুমির মধ্যেই যেন টিকে থাকে বাকি সবার আনন্দ। কিন্তু সঠিক যত্নের অভাবে অনেক সময় শিশু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। সুস্থ শিশু মানেই হাসিখুশি আর প্রাণোচ্ছ্বল। শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য গড়ে তুলতে হবে কিছু অভ্যাস।

Advertisement

আরও পড়ুন: মাত্র একটি কাজেই দূর হবে হাঁটু ব্যথা

কম পরিশ্রম শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই বাইরে খেলতে যেতে চাইলে না বকে উৎসাহ দিন। বাড়ির কাছাকাছি কোনো মাঠ না থাকলে চেষ্টা করুন অন্তত কিছুটা সময় সাইকেলিং, সাঁতার বা কোনো খেলার প্রশিক্ষণে ভর্তি করতে।

কম ঘুম ওর মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শিশু অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কম বয়সেই অনিদ্রার শিকারও হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ে আলো নিভিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিন।

Advertisement

শিশুর সামান্য অসুখে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন কি? এতে কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে শিশুর। ডাক্তারের পরামর্শ না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক দিলে তা কিন্তু প্রভাবিত করে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে। শরীরে অ্যান্টিবডি রেজিস্ট্যান্ট তৈরি হয়। খেয়াল রাখুন সে দিকে।

জরুরি কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস্ত করুন শিশুকে। ক্লান্ত থাকলেও বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ ধোওয়া, দিনে দু’বার দাঁত মাজা, হাত ধুয়ে খেতে বসা, ঠিক ভাবে গোসল করা- এই নিয়মগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে শরীরে সহজে জীবাণু বাসা বাঁধবে না।

বাইরের খাবারে অভ্যস্ত করে ফেলছেন শিশুকে? তা হলে এ বার সময় হয়েছে ভাবার। হাই প্রোটিন আর লো কার্বসের ডায়েট রাখুন শিশুর বিকাশের কথা ভেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরকে সুস্থ রাখে এমন খাবার দিন। মৌসুমী তরিতরকারি ও ফল রাখুন খাদ্যতালিকায়।

শিশুর কাছে সহজ হন। যেন আপনাকে সে বলতে পারে সব। এতে তার মন ভালো তো থাকবেই, সঙ্গে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব কমে শরীর থাকবে তরতাজা।

Advertisement

শিশুর সামনে কখনোই ধূমপান করবেন না। পরোক্ষ ধূমপানে তার শরীরেও ঢুকছে নিকোটিন, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়ামের মতো মারণ বিষ। তাই নিজে তো সাবধান হনই, সঙ্গে খেয়াল রাখুন শিশু যেন স্মোকিং জোনের ধারেকাছে না থাকে।

আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে কোন সময় পানি খাওয়া উচিত?

পানি শরীরের টক্সিন সরায়। হজম শক্তিকে সবল রাখে। তাই বলে পানি খাওয়ার জন্য অহেতুক চাপ দেবেন না। বাচ্চার ওজন ও খাদ্যতালিকা এবং কতটুকু লবণ সারা দিনে খাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে কতটুকু পানি তার প্রয়োজন আগে তা জানুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খেতে দিন পানি।

এইচএন/এমএস