দেশজুড়ে

চূড়ান্ত না করতেই সিলেটে বিএনপির প্রার্থী আরিফ!

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখনও কাউকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেনি বিএনপি। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নির্ভর করবে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পরিবেশ দেখে। অথচ বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকেই একটি গোষ্ঠী বিএনপির প্রার্থী বলে প্রচার চালাচ্ছে।

Advertisement

রোববার জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির অপর তিন মেয়র প্রার্থী মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও সহসভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী এ ব্যাপারে এখনও বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।

আর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, আরিফুল হক চৌধুরীকে বিএনপি নয়, মনোনয়ন দিচ্ছে মিডিয়া। তিনি যেন মিডিয়ার প্রার্থী।

Advertisement

তিনি বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় আমরা অবশ্যই নির্বাচন করবো। কারণ দলের সিদ্ধান্তে আমি শ্রদ্ধাশীল। তবে তার জন্য গাজীপুর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে দলীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে দলটি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পর এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।

আবার গাজীপুর সিটি নির্বাচন মনঃপুত না হলে বিএনপি সিলেটসহ বাকি তিন সিটি নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এ ব্যাপারে মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে আমাকে আমাকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। মাঠে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমি রাজপথে আছি। বিএনপি নির্বাচনে এলে আমি দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুত আছি।

Advertisement

তবে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিম হোসাইন বলেন, মনোনয়নের ব্যাপারে বিএনপি এখনো কাউকে চূড়ান্ত করেনি। চূড়ান্ত করলে আমরা অবশ্যই জানতাম।

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটিতে যদি ‘খুলনা মডেলে’ নির্বাচন হয় তাহলে দল আদৌ নির্বাচনে যাবে কি না তা আবার চিন্তা করবে। ফলে আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রচারণা সঠিক নয়।

সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, বিএনপি এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। তবে যাকে প্রার্থী দেয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করবো। কারণ প্রতিযোগিতা থাকে মনোনয়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত। যখন একটি দল তার প্রার্থী চূড়ান্ত করে মনোনয়ন দিয়ে ফেলে তখন সেই দলের সকল নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হয়ে যায় দলীয় প্রার্থীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে বিজয়ী করে নিয়ে আসা।

লোদী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না এটা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের ব্যাপার। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মতো যদি গাজীপুর সিটি নির্বাচন হয় সেহেতু নির্বাচন করা না করা সমান কথা।

ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস