এভারেস্টের উত্তর-পূর্বে ২৩ হাজার ১১৩ ফুট উঁচু ‘লাকপা রি’ পর্বতচূড়ায় বাংলাদেশের পর্বতারোহী দল। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানান এ তিন বাংলাদেশি। পর্বতারোহীরা হলেন- এম এ মুহিত, বাহলুল মজনু ও শায়লা পারভীন।
Advertisement
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানানো হয়, তিব্বতে এভারেস্টের উত্তর-পূর্বে ২৩ হাজার ১১৩ ফুট উঁচু ‘লাকপা রি’ পর্বতশিখরে পৌঁছাতে বাংলাদেশের পর্বতারোহী দল ২৯ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। ৪ মে নেপালের রসুয়াগাড়ি সীমান্ত পার হয়ে তিব্বতের ক্যারুং ও তিংরি অতিক্রম করে দলটি ৮ মে বেস-ক্যাম্পে পৌঁছায়।
বেস-ক্যাম্পে ৪ রাত এবং মিডল-ক্যাম্পে ১ রাত থেকে দলটি ১৩ মে প্রায় ২১ হাজার ফুট উচ্চতায় অ্যাডভান্স বেস-ক্যাম্পে যায়। ১৭ মে রাত আড়াই টায় অ্যাডভান্স বেস-ক্যাম্প থেকে তিন শেরপা গাইডকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের তিন পর্বতারোহী চূড়ান্ত-আরোহণ শুরু করেন।
Advertisement
প্রায় ২ হাজার ফুট উঁচু হিমবাহ ও পাথরের দেয়ালে আইস-অ্যাক্স, ক্রাম্পন ও জুমারের সাহায্যে কষ্টসাধ্য আরোহণ শেষে ১৭ মে চীনের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় বাংলাদেশের তিন পর্বতারোহী এম এ মুহিত, বাহলুল মজনু ও শায়লা পারভীন ‘লাকপা রি’ শীর্ষে আরোহণ করেন।
ইতোপূর্বে এম এ মুহিত দুই বার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন এবং বাহলুল মজনু পাঁচটি ও শায়লা পারভীন একটি ৬ হাজার মিটার পর্বত আরোহণ করেছেন। ‘লাকপা রি’ পর্বতশিখরে এই অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব।
অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন। অভিযানের দলনেতা এম এ মুহিত ‘লাকপা রি’ শিখরে উন্নীত জাতীয় পতাকা দেখান স্লাইড আকারে। দলের অপর দুই অভিযাত্রী শায়লা পারভীন ও বাহলুল মজনু অভিযানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাক্ষর অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, অভিযানের স্পন্সর প্যারাগন এগ্রো লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মোল্লা মামুন মনোয়ার, আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিজিএম আহমেদ কবির, আজিম গ্রুপের জিএম মসিউর রহমান প্রমুখ।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম