প্রবাস

দেশের জন্য কাজ করব : নিউইয়র্কে ফয়জুন্নেসা

বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে মার্কিন রাজনীতিতে জোরদার ভূমিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কে প্রথম নারী কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। তিনি স্বচ্ছ রাজনীতি চর্চায় মিডিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের জন্য তিনি কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কন্স্যুলেট ভবনে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা-বিনিময়কালে সাদিয়া বলেন, বহুজাতিক এ সমাজে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ কীভাবে এগুচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে-তা আন্তর্জাতিক বন্ধুদের কাছে বিস্তারিতভাবে অবহিত করতে মিডিয়ার বিকল্প নেই।

মিডিয়ার ওপর ভরসা করেই বাংলাদেশ যে ‘অভিনব উন্নয়নের রোল মডেল’ সে তথ্য সর্বস্তরে প্রচার করতে চাই। মানবিক যোগাযোগ বাড়াতে চাই।

এ সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নিউইয়র্ক এবং নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি প্রবাসীর সেবা প্রদানের স্থান হচ্ছে এই কনসুলেট অফিস। প্রয়োজনের চেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা কম হলেও সবাই ন্যূনতম গাফিলতি ছাড়া সর্বোচ্চ চাপ নিয়ে সেবা প্রদানের সক্রিয় রয়েছেন। দৈনিক আড়াই শতাধিক মানুষ আসছেন বিভিন্ন কাজের জন্য। এটি সম্ভব হচ্ছে বাঙালি বলেই। কারণ, আমরা সবাই বাস্তবতাকে অকৃপণচিত্তের মেনে নিয়ে কাজে আগ্রহী।

Advertisement

এ সময় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস সেক্রেটারি শামীম আহমেদ, ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূর এলাহি মিনাসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১৫তম কনসাল জেনারেল সাদিয়া বলেছেন, জনবান্ধব কূটনীতিকে জোরদার করতে চাই সবার সহযোগিতায়। সাদিয়া বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, নিউইয়র্কে নিজস্ব ভবনে কনসুলেট অফিস স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সে অনুযায়ী কাজ করবো।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রথম নারী কনসাল জেনারেল হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। গত শুক্রবার ১৫তম কনসাল জেনারেল হিসেবে তিনি শামীম আহসানের স্থলাভিষিক্ত হন।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন সাদিয়া। তিনি ১৮তম বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের সদস্য। বর্তমান দায়িত্বে যোগদানের আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে (২০১৩-১৬) তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে উপস্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি ১৯৯৪ সালে চ্যাম্পিয়ন ও ১৯৯৩ সালে রানার্স আপ হন। সাদিয়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত একজন উপস্থাপক।

সাদিয়া ফয়জুন্নেসার বাবা অবু বক্কর সিদ্দিকী ও মা রাবেয়া খানম। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেছেন। সাদিয়া ফয়জুন্নেসা নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কেশাল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

এমআরএম/এএইচ/জেআইএম/এমএস