জাতীয়

প্রতীকী অনশনে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওকরণের দাবিতে বৃষ্টির মধ্যেই প্রতীকী অনশন পালন করছেন আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশে তাদের এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এমপিওভুক্তির দাবিতে রোববার থেকে তারা আমরণ অনশন পালন করার ঘোষণা দিয়েছে।

আজ (শনিবার) আন্দোলনের ১৪তম দিনে খোলা আকাশের নিচে বসে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতীকী অনশন পালন করছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না; তা হবে না তা হবে না’, ‘এমপিও না হলে, ঘরে ফিরে যাবো না’, ‘এক দফা এক দাবি, এমপিও কবে দিবি’ -এমন নানা স্লোগান লেখা প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা টানা ১৪ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হয়নি। আজ প্রতীকী অনশন পালন করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হলে আগামীকাল রোববার থেকে আমরণ অনশন শুরু হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, রাজপথে খোলা আকাশের টানা ১৪ দিন আন্দোলন করে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার ওপর আমরণ অনশন কর্মসূচি পালিত হলে অনেক শিক্ষক গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়বে। এতে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবির বিষয়টি অবহিত করে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। দাবি আদায় ছাড়া আমাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের যোগদানের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। আমরা ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে শিক্ষাকতা করছি। এখন যদি ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয় তবে আমাদের কী পরিণতি হবে? আমরা কোনো নীতিমালা বা কমিটি মানি না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা না তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।

এমএইচএম/এমবিআর/এমএস

Advertisement