গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের মশামারী গ্রামে মিটার ছাড়াই অবৈধ সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তার সহায়তায় এসব অবৈধ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ফুলছড়ির ৩নং এলাকায় অবৈধভাবে সংযোগ দেয়ার ফলে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। অথচ এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলেও এখন পর্যন্ত পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অভিযোগে জানা গেছে, মশামারী বাজারে ৮টি বাণিজ্যিক এবং ১০টি আবাসিক বাড়িতে ঠিকাদার কর্তৃক লট নং ২১৭ এর পার্ট-টু মোতাবেক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সার্ভিস ড্রপ সংযোগবিহীন থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, ওই এলাকায় লাইন স্থাপনের সময় থেকে অবৈধভাবে মিটার বিহীন সরাসরি সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সাইড সংযোগ দেয়া হয়েছে একাধিক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশামারী বাজারের বাণিজ্যিক ও আবাসিক মিটার স্ট্যাক গ্রাহক হিসেবে সংযোগ গ্রহণকারীরা প্রায় সাত মাস আগে স্ট্যাক গ্রাহক হিসেবে সংযোগ পান। ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, টাকা জমা দিয়ে কর্তৃৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেও মিটার না পাওয়ায় ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিদুৎ সবারই প্রয়োজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক বলেন, মিটার না থাকায় এক শ্রেণির লোকের সঙ্গে লেনদেন করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে। পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদস্য আবেদন ফি ২০ টাকা এবং জামানত ৬০০ টাকা জমা দিয়ে একজন স্ট্যাক গ্রাহক মিটার পাওয়া কথা। কিন্তু মিটার না লাগিয়ে মিটার বোর্ড থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ নিয়ে কিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এ কারণে বাণিজ্যিক ও আবাসিক মিটার থেকে অবৈধ সংযোগ দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এএইচএম ওহিদুল হক জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল মশামারী বাজারের বেশকয়টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।অমিত দাশ/এমজেড/আরআইপি
Advertisement