প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় ফলদবৃক্ষ রোপণপক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ফলদবৃক্ষ ও পুষ্টির বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে সুস্থ জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Advertisement
জাতীয় ফলদবৃক্ষ রোপণপক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি যোগাবে নতুন মাত্রা।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সরকার কৃষিকে সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, সার, বীজসহ সব কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস, কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণের সুযোগ সৃষ্টি, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ কৃষকদের নগদ সহায়তা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও ই-কৃষির সম্প্রসারণ, গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও সচেষ্ট হতে হবে। বিভিন্ন দেশি ফলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে সারা বছর বিভিন্ন জাতের ফলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। উপযোগী জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি পরিবেশসম্মতভাবে নিরাপদ চাষ পদ্ধতি অবলম্বন এবং ফলের সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনাদিকাল থেকে ফলদবৃক্ষ মানবজাতির জন্য খাদ্য, পুষ্টি ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে আসছে। মানুষের অস্তিত্ব, মেধা ও ঐতিহ্য রক্ষায় ফলের অপরিসীম ও অকৃত্রিম ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমাদের রয়েছে ফলের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। আমাদের দেশীয় ফলগুলো স্বাদে, গন্ধে, পুষ্টিতে অতুলনীয়। তাছাড়া দেশীয় ফলগুলো স্বল্প যত্নেই চাষ করা যায় বলে অর্থনৈতিক দিক, কর্মসংস্থান ও পুষ্টি বিবেচনায় এসব ফল চাষের গুরুত্ব অপরিসীম।
Advertisement
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮ অনুষ্ঠানে সন্তোষ প্রকাশ করে এই আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এফএইচএস/বিএ