রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের ১২/এ, নম্বর বাড়ির ১১ তলার ১১০২ নম্বর ফ্ল্যাটের জাহিদুল ইসলাম শাওন (১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে।
Advertisement
৯৯৯ এ অভিযোগ আসার পর রমনা থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে। পরে গৃহকর্মী নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, গৃহকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বাহারের স্ত্রী তামান্না খান ও ছেলে তানজিলুর রহমান ও গৃহকর্তা ভায়রা ইকবাল হোসেন সোহাগ। ঘটনার পর থেকে গৃহকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বাহার পলাতক রয়েছেন।
রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শিশু গৃহকর্মী শাওন নির্যাতনের ঘটনায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। মামলা নং ৫৩। রমনা মডেল থানার এসআই মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
Advertisement
আটক তিনজনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আর শিশু শাওনের সুস্থতার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় যারা যারা পলাতক আছেন তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ইস্কাটন গার্ডেনের ১২/এ, নম্বর বাড়ির ১১ তলার ১১০২ নম্বর ফ্ল্যাটের শিশু গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন করে এলাকার এক বাসিন্দা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুকে উদ্ধার ও তিনজনকে আটক করে।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এলাকার এক বাসিন্দা ৯৯৯-এ ফোন করে নির্যাতনের কথা জানালে শাওনকে উদ্ধার করা হয়। শাওনের হাত-পা, পিঠ, পায়ের তলায় ভোতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
Advertisement
শাওনের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিনদিয়া সাহেগঞ্জে। শাওনের বাবা জাহিদুল হোসেন কালু (৪২)। তিনি পেশায় মিস্ত্রি।
জেইউ/এএইচ/পিআর