চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লা জেলা লাকসাম এবং চিনকী আস্তনার মধ্যে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় আবারও বাড়লো। তৃতীয় দফায় পাঁচশ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ১৮শ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল। ৫ বছরের প্রকল্প শেষ করতে লাগবে ১০ বছর।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়।
এ প্রকল্পটির বর্তমান প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১২৯১.৯১ কোটি টাকা এবং এতে জাপান ভিত্তিক সংস্থা জাইকা প্রকল্প সাহায্য হিসাবে ৫২৭.৬৪ কোটি টাকা দেবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ২০১৮ পর্যন্ত মেয়াদকালে এটি বাস্তবায়িত হবে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরটি প্রায় ৩২১ কি.মি. দীর্ঘ। উক্ত রেলপথের লাকসাম-চিনকি-আস্তানা অংশে বিদ্যমান ৬১ কি.মি. দীর্ঘ সিঙ্গেল রেললাইনকে ডাবল লাইন করার উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি ৫০১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৮-১৩ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বাস্তবায়ন পর্যায়ে প্রকল্পের ক্রয় কাজের অনুমোদিত দরপত্রে ডিপিপি’র প্রাক্কলিত ব্যয় অপেক্ষা বেশি, প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি, সিডি ভ্যাট ও নতুন পে-স্কেলের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে ১ম সংশোধিত ডিপিপিতে ব্যয় বাড়িয়ে মোট ১ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা করা হয়। ওই সময় ২০১৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার টার্গেট নেয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালে প্রকল্পের ২য় সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদন হয়। ওই সময় মোট ১৭৪৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের চিন্তা করা হয়। এরপর আবার প্রকল্পের ৩য় সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ১৮১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এবার ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আরডিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
এমএ/জেএইচ/জেআইএম