খেলাধুলা

পিটারহফ প্যালেস মনোমুগ্ধকর এক বিনোদন কেন্দ্র

সেন্ট পিটার্সবার্গের ছোট্ট উপশহর পিটারহফ। অনিন্দ সুন্দর এ রাজপ্রাসাদটি তৈরি করেছিলেন সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রতিষ্ঠাতা পিটার দ্য গ্রেট। অষ্টাদশ শতাব্দীতে এ রাজপ্রাসাদ থেকেই সম্রাট পিটার দ্য গ্রেট সম্পন্ন করতেন রাষ্ট্রীয় সব কার্যক্রম। ৩০০ বছর আগের প্রতিষ্ঠিত এই রাজপ্রাসাদটি এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে। বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় এই শহরে আসা পর্যটকদের পছন্দের এক নম্বরে থাকে মনোমুগ্ধকর এ স্থানটি।

Advertisement

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ এখন নানা জাতি ও নানা বর্ণের মানুষের পদচারণায় মুখরিত। খেলা দেখতে আসা এ মানুষগুলো সুযোগ করে ঘুরে যাচ্ছেন ফিনল্যান্ড সাগরের উপকূলে তৈরি এ স্থানটি। বিশাল জায়গা জুড়ে এ বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ফ্রান্সের ভার্সাই রাজপ্রাসাদের আদলে। এ প্যালেসটিকে তাই অনেকে রাশিয়ার ভার্সেইও বলে থাকে।

দুই বছর আগে এ শহরটি পেয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেলস অ্যাওয়ার্ড’। শহরটির এ স্বীকৃতির প্রধান অবদানই বলা চলে ছিল এই পিটারহফ প্যালেসের। এটি এই শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। দিনভর হাজার হাজার মানুষের ভীড় লেগে থাকে এখানে।

মনোমুগ্ধকর এ প্যালেসটিতে প্রবেশ দ্বার থেকে শুরু করে ভেতরের প্রতিটি স্থাপনাই দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার মতে। এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় যেন মূহর্তে। রাশিয়ার বিভিন্ন শহরের মানুষদের সেন্ট পিটার্সবার্গে যে কয়েকটি দর্শণীয় স্থান টানে সেগুলোর মধ্যে একটি এই পেটারহফ প্যালেস।

Advertisement

এখানকার ভবনগুলো দৃষ্টি নন্দন। প্রাসাদগুলোর শীর্ষ যেন স্বর্ণেমোড়া। দর্শনার্থীরা এ ভবনগুলোর সঙ্গে ছবি তুলে হয়ে যান ইতিহানের স্বাক্ষী। লাগোয়া ভবনগুলোর সঙ্গে রয়েছে বাগান, লেক, ঝরনা, পুকুর এবং দুর্দান্ত কিছু ফোয়ারা। এ ছাড়াও এ প্যালেসজুড়ে রয়েছে নানা আকৃতি ও প্রকৃতির চিত্রকর্ম, শিল্প কর্ম। কিছু দুর পরপর সোনালী ভাস্কর্য্যগুলো যেন ভ্রমনপিপাসু মানুষদের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে। মূল প্যালেসে প্রবেশ মূল্যও বেশ চড়া। সর্বনিম্ন ৯০০ ও সর্বোচ্চ ১০০০ রাশিয়ান মূদ্রা দিয়ে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। তারপরও লম্বা লাইন লেগে থাকে টিকিট কাউন্টারগুলোতে।

নব দম্পতিদের এখানে ভ্রমনটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। আগে পড়ে যতই সেখানে যাক, বিয়ের পর নব দম্পতিদের এখানে যেন আসতেই হবে। বুধবার এমন একটি জুটি পাওয়া গেলো পিটারহফ প্যালেসে। আলেকজান্ডার ও মাশা নামের নব দম্পতি জুটি চুকিয়ে ছবি তুলছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাদের পরিবার-পরিজনের মানুষও। অনেক দর্শনার্থীর আবদারও তারা মেটালেন সেলফিবন্দী হয়ে।

পিটারহফ প্যালেসের প্রধান প্রবেশদ্বার ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা ধরণের পণ্যের দোকান ও রেস্টুরেন্ট। সাড়া বছরই এখানে মানুষের ভীড় লেগে থাকে। তবে বিশ্বকাপ ঐতিহাসিক এ জায়গাটাকে দিয়েছে নতুন রূপ। ভেন্যুগুলোর মতো এখানেই বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের উৎসবমুখর উপস্থিতি। সেন্ট পিটার্সবার্গে এসে এমন জায়গা ভ্রমনের সুযোগ কেইবা হাতছাড়া করতে চান?

আরআই/এসএএস/এমএস

Advertisement