দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কের মাঝে অবৈধ বিলবোর্ড

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের বিভাজকে বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড বসানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও শহরের ব্যস্ত সড়কে অবৈধভাবে বসানো একটি বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আট মাস আগে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আজও বাস্তবায়ন করতে পারেনি প্রশাসন। উপরন্তু সড়কের মাঝে নতুন করে আরো দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করেছে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। বিলবোর্ডগুলো বসাতে অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরকে না জানিয়ে রাতারাতি কাঠামো স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এগুলো ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন পথচারী ও ব্যবসায়ীরা।সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-দিনাজপুর মহাসড়কের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার ট্রাফিক আইল্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সড়কের সড়ক বিভাজকে বিশাল আকৃতির দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ডিজিটাল মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া দিতে এসব বিলবোর্ড স্থাপন করে। ১১ জানুয়ারি সওজ অধিদফতরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয় বিলবোর্ডটি উচ্ছেদের অনুরোধ জানিয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে জিডির অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মেয়রকে দিয়ে বিলবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়।সওজ ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তার ট্রাফিক আইল্যান্ড ভেঙে ঢাকার নেপচুন অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড বিশাল আকৃতির (১০ থেকে ১৫ ফুট) একটি বিলবোর্ড স্থাপন করে। স্থাপনের পরের দিন সওজ অধিদফতরের ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোবাশ্বের আলী বিলবোর্ডটি উচ্ছেদের অনুরোধ জানিয়ে সদর থানায় একটি জিডি করেন। পরে তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মেয়রকে সেটির অনুলিপি দেন।উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোবাশ্বের আলী জানান, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সেই সময় চৌরাস্তার বিলবোর্ডটি সরিয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ সুযোগে শহরের ব্যস্ত সড়কে আরো দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।ডিজিটাল মিডিয়ার স্বত্বাধিকারী মনির আহমেদ মুঠোফোনে জানান, পৌর এলাকায় বিলবোর্ড স্থাপন করতে হলে পৌরসভার অনুমতি নিলেই হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়রের সঙ্গে তাদের একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির ওপর নির্ভর করেই তারা বিলবোর্ড দুটি স্থাপন করেছেন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সচিব মজিবর রহমান বলেন, বিলবোর্ডের মাপের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট দর ধরে পৌরসভার সঙ্গে বিজ্ঞাপনী সংস্থার চুক্তি হয়েছে। তবে সে দরটি কত এখন তা মনে নেই। সওজের বিষয়টি তাদেরই (বিজ্ঞাপনী সংস্থার) দেখার কথা ছিল।সওজের ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সোহেল বলেন, ‘স্থাপন করা বিলবোর্ডগুলো অবৈধ। সওজ কর্তৃপক্ষ বিলবোর্ড স্থাপনে কোনো অনুমতি দেয়নি। বিলবোর্ডগুলো সরিয়ে নিতে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে বিলবোর্ডের অবকাঠামো স্থাপন করার বিষয়ে সওজ থেকে জিডির একটি অনুলিপি পেয়েছি। পরবর্তী জেলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা করে ওই অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া হবে।’রবিউল এহসান রিপন/এসএইচএস/পিআর

Advertisement