তখনো গ্যালারির গর্জন থামেনি। রাশিয়া, রাশিয়া স্লোগানে উত্তাল সেন্ট পিটার্সবাগ স্টেডিয়াম। ফিনল্যান্ড উপসাগরের মোহনা থেকে বয়ে আসা রিভা নদীর পানিতে তখন আছড়ে পড়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামের বর্ণিল ছায়া। মিশরের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর স্টেডিয়ামের গা রঙ বদলাচ্ছেন খনে খনে। রাশিয়ার বীর ফুটবলাররা তখন মহা আনন্দে ছাড়ছিলেন মাঠ।
Advertisement
মিক্সড জোনে তখন শতশত মানুষের অপেক্ষা। এক এক করে বেরিয়ে আসছেন রাশিয়ান খেলোয়াড়রা। কয়েকজনের পরই ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে বীরদর্পে আসলেন ডেনিস চেরিশেভ। দলের ৩-১ ব্যবধানের জয়ে এক গোল তার। খেলেছেনও দুর্দান্ত। বিশ্বকাপ শুরুর আগে গনায় না ধরা রাশিয়ানদের সবার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে তোলার অন্যতম নায়ক তিনি। এখন খেলার মাঠে, যাত্রাপথে সবখানে চেরিশপের নামে স্লোগানে উঠে। মিসরকে হারানোর উঠলো আরেকবার।
অধিনায়ক ইগোর আকিনফিভ নয়, ম্যাচ শেষে স্বাগতিক দর্শকদের চোখ ছিল চেরিশেভে। মিক্স জোনে দাঁড়িয়ে সবার লক্ষ্য রাশিয়ানদের নতুন ফুটবল বিপ্লবের নায়ককে ছুঁয়ে দেখা। যতটা সম্ভব সমর্থকদের আবদার মেটালেন দুই ম্যাচে ৩ গোল করা এ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশের সাংবাদিক পরিচয় দিতেই বাড়তি আগ্রহ মনে হলো চেরিশেভের। মুহূর্তেই রহস্য ভাঙলেন। বললেন ‘আমারও বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল। যেতে পারিনি।’ রাশিয়ান ফুটবলের সময়ের অন্যতম বড় তারকার বাংলাদেশের আসার আগ্রহ? এতো অবাক কাণ্ড।
Advertisement
চেরিশেভের বড় ভাই একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন চেরিশেভ ছিলেন ছোট। ‘আমার বড় ভাই যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলেন তখন আমি যেতে চেয়েছিলাম। কান্নাকাটিও করেছিলাম। কিন্তু আমাকে নেননি ভাই। আমার ভাই বলেছেন, আবার আমাকে নিয়ে যাবেন। আমি বাংলাদেশে যেতে চাই’-দোভাষীর মাধ্যমে বলছিলেন ডেনিস চেরিশেভ।
বিশ্বকাপে রাশিয়া স্কোয়াডের যে দুই জন বাইরের লিগে খেলেন তাদের একজন চেরিশেভ। স্প্যান্শি লিগে ভিয়ারিয়ালে খেলা মিডফিল্ডারের আগে দেশের জার্সি গায়ে কোনো গোল ছিল না। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জোড়া গোল করে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে দেশকে জিতিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে মিসরের বিরুদ্ধে করেছেন এক গোল।
আরআই/এমআরএম
Advertisement