ম্যানচেস্টাইর ইউনাইটেডের তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পানামাকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে বেলজিয়াম। এভারটনের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে গত মৌসুমেই লুকাকু নাম লিখিয়েছেন ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানইউতে।
Advertisement
বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত খেলতে এসে সব আলো নিজের দিকেই টেনে নিলেন ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। তবে তার এই অবস্থানে আসার পথটা মোটেও সহজ ছিল না। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবার থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আসাটা অনেকের কাছে তো কল্পনারই মনে হবে। যদিও সেই কল্পনাকেই বাস্তবে রূপ দিলেন লুকাকু। অসম্ভবকে সম্ভব করলেন নিজের ইচ্ছাশক্তি আর কোঠর পরিশ্রম দিয়েই।
দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তার লড়াইয়ের বর্ণনা লুকাকু নিজেই দিয়েছেন ‘প্লেয়ার্স ট্রিবিউনে’। লুকাকুর লম্বা সেই বর্ণনা থেকে সারাংশ কিছু তুলে ধরা হল জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য-
‘তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর। যখন আমার স্কুলে বিরতি দেওয়া হত, তখন আমি বাসায় আসতাম কিছু খেতে। তবে প্রতিদিনের মত ওই একই দুধ আর রুটি আমার মা আমাকে খেতে দিতেন। যখন আপনি একজন বাচ্চা ছিলেন, নিশ্চই আপনি এ বিষয়গুলো বুঝতেন না; কিন্তু আমি বুঝতে পারতাম। আমি ভাবতাম হয়ত এতটুকুই আমাদের সামর্থ্য। তখন আমি আমার মাকে বলতাম, মা দেখো একদিন ঠিকই আমাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমি যখন অ্যাণ্ডারলেখটের (বেলজিয়ান ক্লাব) খেলোয়াড় হব, তখন দেখো তোমার আর কোন কষ্ট করতে হবে না। যখন আমার বয়স ১০ বছর, তখনও আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দেখতে পারতাম না। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেখা বা উপভোগ করার মত কোন সামর্থ্য বা সুযোগ আমাদের ছিল না। তবে তার ঠিক ১২ বছর পরেই আমি বিশ্বকাপ খেলেছি এবং এবারও খেলছি। আর আমি এই সময়টাকে খুব করে উপভোগ করবো, কেননা জীবনটা সত্যিই খুব ছোট্ট।’
Advertisement
এসএস/আইএইচএস/এমআরএম