যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর অব্যাহত ভাঙনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর, কাতুলী ও ছিলিমপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। মাহমুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে মাহমুদনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সরাতৈল ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড হাসনাবাদ পশ্চিম (কুক্কুরিয়া) পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের বহুলী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধুলচর, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যোগীর বয়রা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চালা বাগলা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনাবাদ গ্রামের অনেকাংশই ভাঙন কবলিত রয়েছে। এতে ওয়ার্ডগুলোর সীমানা ও ভোটার তালিকায় জটিলতা সৃষ্টি হবে। এ ব্যাপারে কাতুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান সুমন আহমেদ জানান, যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খোশালিয়া, আলোকদিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা, কোনাবাড়ি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদপুর, নেওরগাছা, আটবরুহা গ্রামের অনেকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।ছিলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাসমত আলীর বলেন, ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে ৮নম্বর ওয়ার্ডের নয়া সুবর্ণতলী, তেজপুর ও গালুটিয়া গ্রামের অনেকাংশ নদীগর্ভে রয়েছে।ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি কোনো কোনো ওয়ার্ডের পুরোটাই নদী গর্ভে মিলে যাওয়ায় এসব ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিভাজন ও সীমানা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আইনগত জটিলতা দেখা দিতে পারে।এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন জানান, ভাঙন কবলিত ইউনিয়নগুলোর ওয়ার্ড বিভাজন করেই নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসএস/এমআরআই
Advertisement