খেলাধুলা

সংখ্যায় সংখ্যায় ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ম্যাচ

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই খাদের কিনারা থেকে জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। ফেবারিটদের হোঁচট খাওয়ার বিশ্বকাপে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু তিউনিসিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরে। ম্যাচ যখন নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগুচ্ছিল তখনই অন্তিম সময়ে গোল করে ইংল্যান্ডকে পুর্ণ তিন পয়েন্ট এনে দেন হ্যারি কেন। ২-১ গোলের জয়ে স্বস্তিতেই রয়েছে ইংলিশরা। সংখ্যায় সংখ্যায় দেখে নেওয়া যাক সেই ম্যাচের চিত্র।

Advertisement

১- জাতীয় দলের হয়ে মেজর টুর্নামেন্টে প্রথম গোলটি করতে হ্যারি কেইন শট নিয়েছেন ১৫টি (ইউরো ১৩, বিশ্বকাপ ২)।

২- ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ডিয়েগো ফোরলানের পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুজন ভিন্ন গোলরক্ষকের বিপক্ষে গোল করলেন হ্যারি কেইন।

৩- বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুতসময়ে গোলরক্ষক পরিবর্তন করার ঘটনার দিক দিয়ে বেন মুস্তাফা রয়েছেন তৃতীয় নাম্বারে। মাত্র ১৮ মিনিটেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

Advertisement

৪- ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে দুই গোল করা চতুর্থ খেলোয়াড় হলেন হ্যারি কেইন। তার আগে ব্রোয়াদিস (১৯৫৪), লফথাউস (১৯৫৪), রবসন (১৯৮২) রয়েছেন এই তালিকায়।

৫- বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫টি পেনাল্টি পেয়েছে দলগুলো। যেখানে সবগুলোই গোলে রূপান্তর করেছে খেলোয়াড়েরা।

৬- কেইরান ট্রিপিয়ার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। ১৯৬৬ সালের পর তা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে ৭টি সুযোগ তৈরি করেছিলেন ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো।

৬- ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দুই ভিন্ন গোলরক্ষকের বিপক্ষে গোল দেওয়ার কৃতিত্ব দেখালো।

Advertisement

 

৮- রাশিয়া বিশ্বকাপের ১৩তম ম্যাচে এসেই ৮টি পেনাল্টির দেখা পেল সবিয়া। ২০১৪ সালে ২৫তম, ২০১০ সালে ৩৫তম, ২০০৬ সালে ৪০তম ম্যাচে ৮টি পেনাল্টির দেখা পেয়েছিল দলগুলি।

৯- টানা নবম বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড ভিন্ন একাদশকে নামালো যারা কখনো এর আগে একসঙ্গে খেলেনি।

৯- বিশ্বকাপে শেষ ১৩টি অনটার্গেট শট থেকে ৯টি গোল হজম করেছে ইংল্যান্ড।

১১- ১৯৮২ সালের পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দ্রুততম গোলটি করেছেন হ্যারি কেইন ১১তম মিনিটে। ১৯৮২ সালে ব্রায়ান রবসন করেছিলেন ২৮ সেকেন্ডে।

১৫- জাতীয় দলের হয়ে ২৫ ম্যাচে ১৫টি গোল করেছেন হ্যারি কেইন। সর্বশেষ গ্যারি লিনেকার জাতীয় দলের হয়ে কম ম্যাচ খেলে (২০) ১৫টি গোল করেছিলেন।

২৬ বছর ১৬ দিন- ২০০২ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচের পর এটিই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কমবয়সী একাদশ।

৯০- বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে জয় পেল ইংল্যান্ড।

১৫০- ২০১৪-১৫ মৌসুম থেকে তিউনিসিয়ার ম্যাচের পর পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এটি হ্যারি কেইনের ১৫০তম গোল।

২৪৮- বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশের সম্মিলিত ম্যাচ সংখ্যা ২৪৮টি। ১৯৬২ সালের পর বিশ্বকাপে এটিই সর্বনিম্ন।

১৯৯৮- ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার পেনাল্টি পর প্রথমবারের বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করলো ইংল্যান্ড।

আরআর/পিআর