আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবসহ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে তারা ষড়যন্ত্র করছে। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনো ষড়যন্ত্র করে কোনো কাজ হবে না।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাকে রক্ষা করতে হলে নির্বাচন করতে হবে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে, কি নেবে না- সেটা বিএনপির ব্যাপার। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই।’
মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দিপু মনি, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ সম্পদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পদক আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখসহ সহযোগী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা।
Advertisement
‘ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এবারও সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আছে, কথা তো থাকতেই পারে, থাইল্যান্ডের বৈঠক। আরও অনেক জায়গায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঢাকাতেও এখানে-ওখানে গভীর রাতে বৈঠক চলছে। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনো ষড়যন্ত্র টিকবে না। দেশের জনগণ সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
গত নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের দোষ? শেখ হাসিনার দোষ? তারা নিজেরা সবকিছু উপেক্ষা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। তারা সরে গেল, আমরা তো দেশের সাংবিধানিক ধারাকে জলাঞ্জলি দিতে পারি না! এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রতি বিএনপির আস্থা নাই বলেই বিদেশ গিয়ে, কূটনীতিকদের কাছে নালিশ করছে।’ বিএনপি নির্বাচনে না আসলে সরকার কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলকে কি সরকার নির্বাচনে ডেকে আনে? তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দল দাবি করে আর নির্বাচনে আসে না- এটা তাহলে কী?’
‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা- সেটা তাদের ব্যাপার। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা সুযোগ নয়।’
Advertisement
খালেদা জিয়ার সিএমএইচে ভর্তির প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর হাসপাতালে তাদের অনীহা। সিএমএইচের চেয়ে ভালো হাসপাতাল আছে বলে আমার জানা নাই।’
এফএইচএস/এমএআর/জেআইএম