খেলাধুলা

প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ১-১ সমতা

আরকেটি শক্তিশালী দেশও হুমকির মুখে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, জার্মানির পর হোঁচট খাওয়ার পথে রয়েছে অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ডও। ভলগোগ্রাদ এরেনায় বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথমার্ধে তিউনিসিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে সমতায় রয়েছে ইংলিশরা। হ্যারি কেনের গোলে ম্যাচের ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ৩৫ মিনিটে কাইল ওয়াকার বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করে তিউনিসিয়াকে সমতায় ফেরান ফেরজানি সাসি।

Advertisement

শুরু থেকেই ফেবারিটের মত খেলতে শুরু করে ইংল্যান্ড। হেসে লিঙ্গার্ড, রাহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেইনরা তিউনিসিয়ার রক্ষণভাগে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। যার ধারাবাহিকতায় ১১তম মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় ইংল্যান্ড।

অ্যাশলে ইয়াংয়ের ক্রস থেকে ভেসে আসা বলটি ছিল জন স্টোনসের উদ্দেশ্যে। দরুণ এক হেড নিয়েছিলেন তিনি। তিউনিসিয়ার গোলরক্ষক মোয়াজ হোসেন দারুণ এক সেভ করেন। কিন্তু ফিরতি বলটিতে গোল করতেই যেন একেবারে গোলমুখে ছিলেন হ্যারি কেন। ফিরতি বলটিতে আলতো টোকা দিতেই সেটি গিয়ে জড়িয়ে যায় তিউনিসিয়ার জালে।

গোল হজম করে তিউনিসিয়া সেই গোলটি হজম করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ইংল্যান্ডের চেয়েও যেন আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয়। ইংলিশদের কোণঠাসা করে তোলে পাল্টা আক্রমণে। ইংল্যান্ড ‍যতই আক্রমণে বল নিয়ে উপরে উঠে আসুক না কেন, তিউনিসিয়ার ফুটবলাররা কাউন্টার অ্যাটাকে তটস্থ করে তোলে ইংল্যান্ডের রক্ষণকে।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত ৩৫তম মিনিটে বক্সের মধ্যে ফখরুদ্দিন বিন ইউসুফকে ফাউল করে বসেন কাইল ওয়াকার। মূলতঃ হাত দিয়েই ফখরুদ্দিনকে আঘাত করেন ওয়াকার। রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক নিতে আসেন ফেরজানি সাসি। তার বাম কোনে নেয়া শটটি ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাতও লাগিয়েছিলেন জর্ডান পিকফোর্ড। কিন্তু ঠেকাতে পারেননি। গোল হয়ে যায়।

সমতায় ফেরার পর অবশ্য ইংল্যান্ড আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গোল শোধ করতে পারেনি। ৪৪ মিনিটে প্রায় গোলই হয়ে গিয়েছিল। হেসে লিঙ্গার্ড তিউনিসিয়ার পরিবর্তিত গোলরক্ষক ফারুক বিন মুস্তফাক ফাঁকি দিয়ে নেটে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গড়িয়ে গড়িয়ে বলটি একেবারে ডান পাশের বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তিউনিসিয়া একাদশ : মোয়েজ হোসেন (২২) (গোলরক্ষক), ইয়াসিন মেরিয়াহ (৪), সিয়াম বিন ইউসুফ (২), আলি মালোল (১২), দাইলান ব্রুন (১১), ফেরজানি সাসি (১৩), ইলিয়াস এসখিরি (১৭), আনিস বদ্রি (৯), ফখরুদ্দিন বিন ইউসুফ (৮), নাইম স্লিতি (২৩), ওয়াহবি খাজরি (১০)।

ইংল্যান্ড একাদশ : জর্ডান পিকফোর্ড (১) (গোলরক্ষক), জন স্টোনস (৫), হ্যারি ম্যাগুইরে (৬), কাইল ওয়াকার (২), জর্দান হেন্ডারসন (৮), ডেলে আলি (২০), হেসে লিনগার্ড (৭), অ্যাশলে ইয়াং (১৮), কেইরান ট্রিপার (১২), রাহিম স্টার্লিং (১০), হ্যারি কেইন (৯) (অধিনায়ক)।

আইএইচএস/এমআরএম

Advertisement