জাতীয়

ছিনতাইয়ের শিকার জার্মান তরুণী, কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা ছাড়লেন

বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছিলেন ভ্রমণপিপাসু জার্মান তরুণী সুইন্ডে উইদারহোল্ড। পর্বতময় মহাসড়ক কিংবা মরুপথে সাইকেল চালিয়ে হাজার মাইল পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফটোগ্রাফি শিখতে আর ছবি তুলতে।

Advertisement

ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের অস্থায়ী আবাসে ফিরতে তিনি একটি রিকশা ভাড়া করেন। রিকশাটি জিগাতলা পার হয়ে সীমান্ত স্কয়ারের ফটকে আসামাত্র একটি সাদা গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি তার ব্যাকপ্যাকটি টান মেরে নিয়ে যায়। ওই ব্যাগে তার ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ক্রেডিট কার্ড এবং তার দুটি হার্ডডিস্কসহ অন্যান্য জিনিস ছিল। সব হারিয়ে শুক্রবার ভোরে কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা ছাড়েন ওই জার্মান তরুণী।

ওই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী সুইন্ডে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে কিংবা খোয়া যাওয়া ব্যাকপ্যাক উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিদেশি তরুণীর করা মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। সংগ্রহ করা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজও দেখা হচ্ছে। অপরাধীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা করছি।

Advertisement

সুইন্ডের বাংলাদেশি বন্ধু শশাঙ্ক সাহা গণমাধ্যমে বলেছেন, গত জানুয়ারিতে ধানমন্ডির পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ফটোগ্রাফি কোর্স করতে ঢাকায় আসেন সুইন্ডে। তিনি চট্টগ্রামে জাহাজভাঙা শিল্প, সুন্দরবন, কুয়াকাটাসহ অনেক জায়গায় প্রচুর ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবিগুলো বিভিন্ন বন্ধুর কম্পিউটারে জমা ছিল। ওই ঘটনায় হতবিহ্বল সুইন্ডে উইদারল্যান্ডের ইনস্টাগ্রামে পোস্টও দিয়েছেন।

সুইন্ডে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘একটি ঘটনা পুরো বাংলাদেশ ভ্রমণে অভিজ্ঞতাটি কালো মেঘে ঢেকে দিল। না, এটা (বাংলাদেশ) ভ্রমণের জন্য নিরাপদ নয়। একা ভ্রমণ না করাই ভালো।...আমি কেবল একটি কথাই বলতে পারি, দেখে-শুনে চলো, নিজের ক্ষেত্রে সাবধানে থেকো।...আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বাংলাদেশ ছাড়ছি।’

জেইউ/জেএইচ/এমএস

Advertisement