বিনোদন

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ষাট বছর

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ষাট বছরে পা দিয়েছে সোমবার। ১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট মুক্তি পায় প্রথম সবাক পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’। সে হিসাবে এবারে ষাট বছরে পা দিচ্ছে আমাদের অনেক গর্বের ঢাকাই চলচ্চিত্র। ১৯৫৪ সালে ইকবাল ফিল্মসের ব্যানারে ‘মুখ ও মুখোশ-এর কাজ শুরু করেছিলেন পরিচালক আবদুল জব্বার খান। এতে তিনি নিজেই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। নায়িকা চরিত্রে ছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে পূর্ণিমা সেন। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন ইনাম আহমেদ, নাজমা (পিয়ারী), জহরত আরা, আলী মনসুর, রফিক, নুরুল আনাম খান, সাইফুদ্দীন, বিলকিস বারী প্রমুখ। এ ছবির সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন চিত্রগ্রাহক কিউ.এম জামান, সুরকার সমর দাস। ছবির গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীম ও মাহবুবা হাসানাত।১৯৫৫ সালের জুনে তেজগাঁওয়ে সরকারি ফিল্ম স্টুডিও চালু হয়। এফডিসি ছাড়াও দেশীয় চলচ্চিত্র পরিস্ফুটনে পপুলার স্টুডিও, বারী স্টুডিও এবং বেঙ্গল স্টুডিওর ভূমিকা ছিলো।তবে ‘মুখ ও মুখোশ’ মুক্তির পর ১৯৫৭ এবং ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি। ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  (তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী) উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে ১৯৫৯ সালে থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি বছর চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে। দীর্ঘ এই ষাট বছরে বাংলা চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। সেইসাথে আমরা পেয়েছি ভিন্ন প্রজন্মে দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী। সাত্তার, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মোস্তফা, নায়ক রাজ রাজ্জাক, আলমগীর, ওয়াসিম, সোহেল রানা, ফারুক, বুলবুল আহমেদ, জসীম, মাহমুদ কলি, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাফর ইকবাল, ইমরান, মান্না, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, রিয়াজ, শাকিল খান, শাকিব খান, বাপ্পি, সাইমন প্রমুখ এ দেশের জনপ্রিয় নায়ক। একইভাবে ভিন্ন প্রজন্মে সুচন্দা, কবরী, শাবানা, রোজি আফসারী, ববিতা, রোজিনা, অঞ্জনা, অঞ্জু ঘোষ, কবিতা, শিল্পী, শাবনূর, মৌসুমী, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহিরা দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছেন নায়িকা হয়ে। আর বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র হয়ে এসেছিলেন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ। তার ছবি ও ফ্যাশন দুই প্রজন্ম পেরিয়ে এসেও সমান জনপ্রিয় বাংলাদেশে। সেই শুরুর দিনটি থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র যাদের হাত ধরে এগিয়ে এসেছে, বিশ্বব্যাপি ছড়িয়েছে এদেশীয় চলচ্চিত্রের নাম তাদের সবার প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।এলএ/এমআরআই

Advertisement